নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিদ্ধিরগঞ্জের বহুল আলোচিত গডফাদার সাত অপহরণ ও খুনের মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর নূর হোসেন ওরফে হোসেন চেয়ারম্যান এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছেন। পুলিশ বলছে- তিনি দেশেই আছেন, তাঁকে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। এদিকে নূর হোসেন গ্রেপ্তার হয়েছেন- গতকাল দিনভর এমন ‘গুজব’ ছড়িয়েছে গোটা জেলায়। এমন গুজবে বেড়ে যায় সাংবাদিকদের তৎপরতা, নড়াচড়া শুরু হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যেও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফল শূন্য।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান, অপহরণ ও খুনের ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে হত্যা মামলার ১২ আসামির কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক (ডিআইও-১) মঈনুর রহমান জানান, এজাহার নামীয় আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এজাহার নামীয় আসামিদের মধ্যে দুজন বিদেশে চলে গেছে, পুলিশ তা আগে টের পায়নি। আরো কেউ গেছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশ যাওয়ার সব পথে তাদের জন্য রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে। কেউ আর দেশ ছাড়তে পারবে না।
নারায়ণগঞ্জের এসপি ড. খন্দকার মহিদ বলেন, ‘অভিযান চলছে। আমরা দ্রুত ভালো খবর দিতে পারব বলে আশাবাদী।’
আরো তিনটি অস্ত্র জব্দ : নূর হোসেন ও তাঁর সহযোগীদের আরো তিনটি অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এ নিয়ে গত দুই দিনে সাতটি অস্ত্র জব্দ করা হলো। নজরুলের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার নূর হোসেনসহ ৯ জনের ১১টি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেন জেলা প্রশাসক।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল মতিন জানান, শাহজাহানের একটি, আলী আহাম্মেদের একটি ও সানাউল্লাহ সানার একটি অস্ত্র তাঁদের বাড়ি থেকে জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জের বাতেনপাড়া এলাকায় নূরউদ্দিনের বাড়ি থেকে একটি, জামালউদ্দিনের বাড়ি থেকে একটি ও আরিফুল হক হাসানের বাড়ি থেকে দুটি অস্ত্র জব্দ করা হয়।
শহীদ চেয়ারম্যান আবারও বললেন, নূর হোসেনের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান বলেন, সাত খুনের ঘটনায় অনেকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ বা সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ ওঠায় অনেকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও দলীয়ভাবে খুনিদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজন খুনের মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নূর হোসেন প্রধান আসামি ও সাধারণ সম্পাদক হাজি ইয়াছিন ২ নম্বর আসামি।