মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিনোদন জগতের এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। বরাবরই সমাজের নানা বিষয় নিয়ে নিজের অভিব্যক্ত জন্য সম্মুখে প্রকাশ করতে দ্বিধাবোধ করেন না। কিছুদিন আগেই ফেসবুকে দেশের চলচ্চিত্র বিদেশে রপ্তানি এবং বাইরের চলচ্চিত্র দেশে আমদানির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের পক্ষে ও বিপক্ষে বিভিন্ন সময়ে যুক্তি দাঁড় লেখা একটি স্ট্যাটাস ভীষণ বিতর্ক তৈরি করেছ। এবার তেমনই কিছু করলেন। এবার বিষয় ভারতের নির্বাচন।
মৌলবাদ নিয়ে ভারতের দ্বৈতনীতিকে তুলে ধরে ‘সুশাসন ছাড়া মৌলবাদ দমন করা যায় না’ বলে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করেছেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী। তবে ভারত বাংলাদেশে মৌলবাদী সরকারে দেখতে না চাইলেও এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের গণতন্ত্রের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলেছেন বলে মত এই নাট্যকারের।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর শুক্রবার রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই অভিমত ব্যক্ত করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী।
এখানে ফারুকী লিখেছেন, “আমি ভারতীয় গণতন্ত্রের দারুণ ভক্ত। আমরা সবাই জানি, জনগণ যখন স্বতস্ফূর্তভাবে তাদের সরকার নির্বাচন করতে পারে, সেটাই গণতন্ত্রে সৌন্দর্য। এবং এখানে ঝুঁকি আছে, তারা একজন স্টুপিডকেও নির্বাচন করতে পারেন। আমরা ভৌগলিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং মনস্তাত্তিকভাবে ভারত দ্বারা পরিবেষ্টিত। এই সত্যটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই ভারতের নির্বাচন নিয়ে আমরা পর্যালোচনা এটাই স্বাভাবিক। আমিও এর ব্যতিক্রম নই এবং এখান থেকে শেখার আছে।”
ভারতের লোকসভা নির্বাচন থেকে দুইটি বিষয় শিক্ষণীয় হিসেবে তুলে ধরেছেন ফারুকী। ক্রমিক নম্বর দিয়ে তিনি লিখেছেন, “১. মৌলবাদীদের বেশিদিন কোনঠাসা করে রাখা সম্ভব নয়। এদের শক্তি দমন করা যায় না, এজন্য দরকার সুশাসন।
২. ভারত বিশ্বাস করে, তাদের ধর্মীয় উগ্রবাদী সরকার থাকতে পারে কিন্তু বংলাদেশে কোনো মৌলবাদ থাকা উচিত নয়।”
স্ট্যাটাসের শেষ ভাগে ‘বিনোদন খোরাক’ প্যারায় মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী লিখেছেন, “আমি আবিষ্কার করলাম, ভারতীয় মৌলবাদ ইসলামী মৌলবাদের চেয়ে ভালা। ৫ জানুয়ারি, আমাদের ‘নাটকীয়’ নির্বাচনের আগে অনেক ভারতীয় কর্তাই দেশে এবং দেশের বাইরে সফর করেছেন। সফরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের কর্তারা বাংলাদেশে ইসলামী মৌলবাদীদের দেখতে চান না বলে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন (যদিও বাস্তবতা হচ্ছে জামায়াত ই ইসলামীর এককভাবে ক্ষমতায় আসার যৌগ্যতা নেই)। তাদের মতো আমরাও চাইনি।”
ফারুকী লিখেছেন, “কিন্তু এই প্রচারের আগে, তারা কেউই নিশ্চিত হননি তাদের হাউজ ঠিকমতো চলছে কি না।”
সবশেষে প্রশ্ন রেখেছেন- “ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত কখনও ভারতের কর্তাদের বলতে পারবে কি ‘আমরা ভারতে হিন্দু মৌলবাদ দেখতে চাই না। আর আদৌ তারা কি এরকম বলতে আমাদের অনুমতি দেবে?”