রাতের বেলায় ঘুমের ঘোরে অনেকেরই নাক দিয়ে অদ্ভূত সব শব্দ বেরিয়ে আসে। যাকে ঠাট্টা করে বলা হয়- নাক ডাকা। খুবই প্রচলিত একটা ব্যাপার এই যে, সবাই মনে করে যে বা যারা নাক ডাকেন, সমস্যাটা তার হয়না। বরং এর ভুক্তভোগী হন আশপাশের মানুষগুলো। ব্যাপারটা পুরোপুরি ঠিক না। এক্ষেত্রে ব্যক্তি যে কেবল আশপাশের মানুষকেই সমস্যায় ফেলেন তা না, সৃষ্টি করেন নিজের জন্যেও বড়সড় সমস্যা।
মের সময় অনেকেই ওএসএ বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ এপনিয়াতে ভোগেন। এসময় ব্যক্তির চোয়াল, গলা ও জিহ্বার পেশীগুলো শ্বাস-প্রশ্বাসের রাস্তায় বাঁধা সৃষ্টি করে সাময়িকভাবে বিশ্রামে চলে যায়। ফলে তার শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, সৃষ্টি হয় অদ্ভুত শব্দের। ঘুমের ঘোরে অনেকেরই নাক দিয়ে এমন বিদঘুটে শব্দ বের হয়। তবে কারো ক্ষেত্রে সেটা বেশী আবার কারো ক্ষেত্রে সেটা একদমই কম। মাঝে-মাঝে হয়ে থাকলে ব্যাপারটা নিয়ে তেমন চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু অতিরিক্ত নাক ডাকলে সেটা ফেলতে পারে ব্যক্তির স্বাস্থ্যের ওপর বাজে প্রভাব। এই অতিরিক্ত নাক ডাকার সাথেই যুক্ত অতিরিক্ত বাথরুম পাওয়া, স্মৃতিশক্তি হারানো, হতাশা, স্ট্রোক, ডায়াবেটিসসহ আরো অনেক ব্যাধি। আর তাই আপাতদৃষ্টিতে দেখতে ছোট্ট অথচ ভয়ংকর এই ব্যাপারটিকে কি করে বন্ধ করা যায় সেটা জেনে রাখা দরকার।

চিত হয়ে না শোয়া-

ঘুমের সময় চিত না হয়ে কাত হয়ে শোয়াই ভালো। চিত হয়ে ঘুমালে জিহ্বার মাধ্যমে গলার ওপর চাপ পড়ে। ফলে এক ধরনের কম্পনের সৃষ্টি হয় যা কিনা তৈরী করে অদ্ভুত সব শব্দের। অনেকে ঘুমের ভেতরেই কাত হওয়া অবস্থা থেকে চিত হওয়া অবস্থায় চলে যান। সেক্ষেত্রে রাতের পোশাকের সাথে একটি ছোট আকৃতির বল আটকে নিন। এতে করে চিত হতে গেলেই আপনার ঘুম ভেঙে যাবে। সমাধান হবে নাক ডাকা সমস্যার।

ওজন নিয়ন্ত্রণ-

অতিরিক্ত ওজনের ফলেও অনেকে নাক ডাকেন। অতিরিক্ত মোটা ব্যক্তির গলার চারপাশে থাকা চর্বি তৈরি করে এই শব্দ। আর তাই চেষ্টা করুন ওজন কমাতে।

অ্যালকোহল সেবন চলবে না-

নাক ডাকার আরেকটি বড় কারণ হল অ্যালকোহল সেবন। অ্যালকোহল সেবন শরীরের পেশীগুলোকে প্রয়োজনের চাইতে বেশী অবশ করে দেয়। ফলে তৈরি হয় অদ্ভুত সব শব্দের। তাই অ্যালকোহল পান বন্ধ করুন। আর করলেও মেপে।

ধূমপান চলবে না-

ধূমপানের ফলেও সৃষ্টি হয় অতিরিক্ত নাক ডাকার সমস্যা। তাই চেষ্টা করুন এই বাজে অভ্যাসটি যতটা সম্ভব কমাতে।

বালিশ বদলে ফেলা-

সব ধরনের বালিশে সবাই আরামবোধ করেনা। আর এই কারণেও তৈরি হয় নাক ডাকার মতন বাজে একটি ব্যাপারের। তাই বালিশ বদলে ফেলুন। আর সবসময় পাশে রাখুন লম্বাকৃতির একটি পাশবালিশ।

ঠান্ডা লাগা রোধ করুন-

ঠান্ডা লাগার মতন সাধারণ একটা ব্যাপারও নাক ডাকার জন্য দায়ী হতে পারে। সবার ক্ষেত্রে মাঝা-মাঝে হলেও অনেকের জন্য ঠান্ডা লেগে সর্দি হবার ঝামেলাটা নিত্যদিনের ব্যাপার। আর এক্ষেত্রে তাই আলাপ করুন ডাক্তারের সাথে।

পর্যাপ্ত ঘুম-

নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমান। অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণেও সৃষ্টি হতে পারে এই আনাকাঙ্খিত সমস্যার।

পানি পান করা-

প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। অপর্যাপ্ত পানি পান করার ফরেও অনেকের কাছে নাক ডাকা সমস্যায় পরিণত হয়।
বিভাগ:

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.