ভালোবাসার সম্পর্ক শুধুমাত্র গড়ে তোলাটাই প্রথম ও প্রধান কাজ নয়। আমরা অনেকেই মনে করি একটি ভালোবাসার সম্পর্কে থাকতে পারলেই আমাদের সুখ শান্তির একটি পথ খোলা হয়ে যাবে। কিন্তু সম্পর্কে জড়ানোই মূল কথা নয়। আপনি একটি সুস্থ ও সুখের সম্পর্কে আছেন কিনা, অর্থাৎ আপনার সম্পর্কটি আসলেই ১০০% সঠিক কিনা তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
আপনি একটি ভালো সম্পর্কে থাকলেই আপনি হতে পারবেন একজন সুখি মানুষ। সুসম্পর্কে থাকলেই আপনার জীবনে আসবে শান্তি। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন আপনি যে সম্পর্কটিতে আছেন তা সঠিক কিনা কিংবা তা আপনার জন্য কতোটা উপকারী? চলুন তাহলে আজকে খেলে নিন একটি ছোট্ট কুইজ এবং জেনে নিন আপনার ভালোবাসার সম্পর্কটি আপনার জন্য আসলেই ভালো কিনা!
১. আপনি নিজে যেরকম চিন্তা করেন কিংবা নিজের যে মানসিকতার মানুষ তা কি পুরোপুরি আপনার সঙ্গীর সামনে প্রকাশ করতে পারেন?
ক) অবশ্যই। আমি যেমন সে আমাকে সেভাবেই দেখেছে এবং সেভাবেই পছন্দ করে।
খ) মাঝে মাঝে আমাকে নিজের মনমানসিকতা বিসর্জন দিতে হয়
গ) আমি নিজেই মাঝে মাঝে প্রকাশ করি না আমি কেমন
ঘ) ওর জন্য সব সময় আমাকে ওর মতো করে থাকতে হয়।
খ) মাঝে মাঝে আমাকে নিজের মনমানসিকতা বিসর্জন দিতে হয়
গ) আমি নিজেই মাঝে মাঝে প্রকাশ করি না আমি কেমন
ঘ) ওর জন্য সব সময় আমাকে ওর মতো করে থাকতে হয়।
২. আপনার সঙ্গী কি নিজের বিফলতার দোষ আপনার ওপর চাপিয়ে দিয়ে কথা বলে থাকেন?
ক) মাঝে মাঝে। ও যখন অনেক বেশি বিষণ্ণ থাকে
খ) মোটেই না। বরং ও নিজেকে দোষ দেয়
গ) সব সময়। কিছু হলেই এই কাজটি করে
ঘ) ও করে না, মাঝে মাঝে আমিই এই কাজটি করে ফেলি
খ) মোটেই না। বরং ও নিজেকে দোষ দেয়
গ) সব সময়। কিছু হলেই এই কাজটি করে
ঘ) ও করে না, মাঝে মাঝে আমিই এই কাজটি করে ফেলি
৩. আপনি কি নিজের ইচ্ছার চাইতে আপনার সঙ্গীর ইচ্ছাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন?
ক) হ্যাঁ, বলতে গেলে সব সময়।
খ) মাঝে মাঝে, যখন মনে করি ও যা বলছে ঠিক বলছে না
গ) কখনোই না। আমি আমার মতো ও ওর মতো
ঘ) ওই আমার মতামতের অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে যা আমি দিতে পারি না
খ) মাঝে মাঝে, যখন মনে করি ও যা বলছে ঠিক বলছে না
গ) কখনোই না। আমি আমার মতো ও ওর মতো
ঘ) ওই আমার মতামতের অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে যা আমি দিতে পারি না
৪. আপনি কি সম্পর্কে শান্তি বজায় রাখতে গিয়ে তার অনেক কথা মেনে নেন?
ক) না, খুব কম। কারণ শান্তি বজায় রাখতে যেয়ে অন্যায় মেনে নেয়ার প্রয়োজন নেই
খ) মাঝে মাঝে। যখন মনে করি অনেক বেশি অশান্তি হবে
গ) সব সময়েই ওর কথা মেনে নিতে হয়।
ঘ) ও বেশীরভাগ সময়ই আমার কথা মেনে নেয়
খ) মাঝে মাঝে। যখন মনে করি অনেক বেশি অশান্তি হবে
গ) সব সময়েই ওর কথা মেনে নিতে হয়।
ঘ) ও বেশীরভাগ সময়ই আমার কথা মেনে নেয়
৫. আপনি কি মনে করেন আপনি যে সম্পর্কটিতে রয়েছে তাতে আপনি এবং আপনার সঙ্গীর মতামতের গুরুত্ব একেবারে সমান সমান?
ক) না। ও আমার মতামতকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে চায় না।
খ) হ্যাঁ। আমরা একেবারে সমান সমান। একে ওপরের জন্য সঠিক জিনিসটিই করতে পারি
গ) আমার মাঝে মাঝে মনে হয় ও আমাকে গুরুত্ব কম দিচ্ছে
ঘ) ও নিজের গুরুত্বটাকে আমার সামনে নিয়ে আসতেই পারে না
খ) হ্যাঁ। আমরা একেবারে সমান সমান। একে ওপরের জন্য সঠিক জিনিসটিই করতে পারি
গ) আমার মাঝে মাঝে মনে হয় ও আমাকে গুরুত্ব কম দিচ্ছে
ঘ) ও নিজের গুরুত্বটাকে আমার সামনে নিয়ে আসতেই পারে না
৬. আপনি কি কিছু কথা গোপন করেন আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে এই ভেবে যে তা আপনার সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে?
ক) না। আমি এমনটা ভাবি না। কিছু বিষয় আছে যা গোপন করি কিন্তু তা আমাদে সম্পর্কে কোনো প্রভাবই ফেলবে না
খ) মাঝে মাঝে করি
গ) হ্যাঁ। আমা মনে হয় এই গোপনগুলো জানলে ও আমার সাথে সম্পর্ক রাখবে না
ঘ) ও মনে হয় করে। কিন্তু আমি কোনো কথাই গোপন রাখি না
খ) মাঝে মাঝে করি
গ) হ্যাঁ। আমা মনে হয় এই গোপনগুলো জানলে ও আমার সাথে সম্পর্ক রাখবে না
ঘ) ও মনে হয় করে। কিন্তু আমি কোনো কথাই গোপন রাখি না
৭. যদি তর্ক হয় আপনাদের মাঝে তাহলে দুজনে কি পরবর্তীতে ক্ষমা চেয়ে নতুন করে সব শুরু করেন?
ক) হ্যাঁ। কারণ ভুল আমারও হতে পারে ওরও হতে পারে
খ) আমাকে সব সময় মাফ চেয়ে নিতে হয়। ভুল ওর থাকলেও সে স্বীকার করা না
গ) আমিই মনে হয় মাঝে মাঝে বেশি মাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাই
ঘ) মাঝে মাঝে ও বেশি অন্যরকম হয়ে যায় ভুল স্বীকার করতে চায় না
খ) আমাকে সব সময় মাফ চেয়ে নিতে হয়। ভুল ওর থাকলেও সে স্বীকার করা না
গ) আমিই মনে হয় মাঝে মাঝে বেশি মাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাই
ঘ) মাঝে মাঝে ও বেশি অন্যরকম হয়ে যায় ভুল স্বীকার করতে চায় না
৮. আপনি আপনার সঙ্গীকে অনেক বেশি বিশ্বাস করেন?
ক) হ্যাঁ, আমি ওকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করি এবং ও বিশ্বাসের মর্যাদা রেখেছে
খ) মাঝে মাঝে মনে হয় ওকে বিশ্বাস করে ভুল করছি
গ) আমি একেবারেই বিশ্বাস করতে পারি না তাকে
ঘ) ও মনে হয় আমাকে বিশ্বাস করতে পারে না
খ) মাঝে মাঝে মনে হয় ওকে বিশ্বাস করে ভুল করছি
গ) আমি একেবারেই বিশ্বাস করতে পারি না তাকে
ঘ) ও মনে হয় আমাকে বিশ্বাস করতে পারে না
৯. আপনি কি আপনার সঙ্গীর সাথে সব কিছু নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে পারেন?
ক) সব সময়। সে একবারে আমার বন্ধুর মতো
খ) একেবারেই না।
গ) মাঝে মাঝে বলি। কিন্তু মাঝে মাঝে বলতে পারি না
ঘ) ও অনেক কিছু খোলামেলা ভাবে বলে না আমাকে। আমি বলার চেষ্টা করি
খ) একেবারেই না।
গ) মাঝে মাঝে বলি। কিন্তু মাঝে মাঝে বলতে পারি না
ঘ) ও অনেক কিছু খোলামেলা ভাবে বলে না আমাকে। আমি বলার চেষ্টা করি
১০. আপনি কি খুব বেশি মাত্রায় ইমোশনাল তার ব্যপারে?
ক) হ্যাঁ, সে আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছে।
খ) খুব বেশি মাত্রায় না, কিন্তু সম্পর্কের খাতিরে তো অবশ্যই
গ) ও আমার ওপর অনেক বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল।
ঘ) একেবারেই না। আমরা একে ওপরের সাথে সমান ভাবে আছি। কেই কম বা বেশি নয়
খ) খুব বেশি মাত্রায় না, কিন্তু সম্পর্কের খাতিরে তো অবশ্যই
গ) ও আমার ওপর অনেক বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল।
ঘ) একেবারেই না। আমরা একে ওপরের সাথে সমান ভাবে আছি। কেই কম বা বেশি নয়
ফলাফলঃ
১ এর ক-২০ , খ-১৫ ,গ-১০ , ঘ-৫
২ এর ক-১০ , খ-২০ ,গ-৫ , ঘ-১৫
৩ এর ক-০ , খ-১০ ,গ-২০ , ঘ-১৫
৪ এর ক-২০ , খ-১০ ,গ- ৫, ঘ-১৫
৫ এর ক-৫ , খ- ২০,গ-১০ , ঘ-১৫
৬ এর ক-২০ , খ-১০ ,গ-৫ , ঘ- ১৫
৭ এর ক-২০ , খ-৫ ,গ- ১০, ঘ-১৫
৮ এর ক-২০ , খ-১৫ ,গ-৫ , ঘ-১০
৯ এর ক-২০ , খ-৫ ,গ-১৫ , ঘ-১০
১০ এর ক-৫ , খ-১০ ,গ-১৫ , ঘ-২০
২ এর ক-১০ , খ-২০ ,গ-৫ , ঘ-১৫
৩ এর ক-০ , খ-১০ ,গ-২০ , ঘ-১৫
৪ এর ক-২০ , খ-১০ ,গ- ৫, ঘ-১৫
৫ এর ক-৫ , খ- ২০,গ-১০ , ঘ-১৫
৬ এর ক-২০ , খ-১০ ,গ-৫ , ঘ- ১৫
৭ এর ক-২০ , খ-৫ ,গ- ১০, ঘ-১৫
৮ এর ক-২০ , খ-১৫ ,গ-৫ , ঘ-১০
৯ এর ক-২০ , খ-৫ ,গ-১৫ , ঘ-১০
১০ এর ক-৫ , খ-১০ ,গ-১৫ , ঘ-২০
৫০ থেকে ৮৯ পর্যন্তঃ
আপনার সম্পর্কটি মোটেও আপনার জন্য ভালো নয়। আপনাকেই সব সময় ছাড় দিতে হচ্ছে। এই জিনিসটি কিছুদিন পরেই বিরক্তির পর্যায়ে চলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তখন আরও অনেক বেশি ইমোশনাল হয়ে গেলে আপনার জন্যই ক্ষতি বয়ে নিয়ে আসবে। আপনাদের সম্পর্কটি যদি অনেক বেশিদিনের হয়ে থাকে তাহলে বোঝা যাচ্ছে এভাবেই আপনাকে সারাজিবন মেনে নিতে হবে। আর যদি অল্প দিনের হয়ে থাকে চেষ্টা করে দেখুন সঙ্গীর মনোমানসিকতা পরিবর্তন করার। এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়া আপনার জন্য ভালো।
৯০ থেকে ১২৯ পর্যন্তঃ
আপনি নিজেই মাঝে মাঝে অনেক বেশি চাপের মুখে রাখেন আপনার সঙ্গীকে। এই কাজটি একেবারেই উচিৎ নয়। আপনার সঙ্গী আপনার জন্য ছাড় দিচ্ছেন কিন্তু পরবর্তীতে নাও দিতে পারেন। তাকে তার প্রাপ্য মূল্য দিন। যদিও আপনি সব সময় এমনটা করেন না। তারপর সম্পর্কে মধুরতা বজায় রাখার জন্য আপনার মনোভাবের কিছুটা পরিবর্তন প্রয়োজন।
১৩০ থেকে ১৫৯ পর্যন্তঃ
আপনার সঙ্গী মাঝে মাঝে আপনাকে অনেক বেশি মাত্রায় অশান্তির মধ্যে রাখেন। অন্যান্য দিক দিয়ে এবং আপাত দৃষ্টিতে আপনাদের সম্পর্কে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু এই অশান্তি ভবিষ্যতে যাতে বেড়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনার, এবং আপনার সঙ্গীকে বোঝানোর দায়িত্বও আপনার।
১৬০ থেকে ২০০ পর্যন্তঃ
আপনারা একটি পারফেক্ট সম্পর্কে রয়েছেন। আপান্দের সম্পর্কটি এমন এখানে আপনারা দুজনেই দুজনের গুরুত্ব এবং মূল্য বোঝেন। আপনারা একজন অপরজনের ওপর সমান ভাবে নির্ভরশীল। আপনাদের সম্পর্কের মূল ভিত্তি বিশ্বাস। আপনারা খুব ভালো সঙ্গী একে ওপরের জন্য। শুভকামনা রইল।