তরমুজ ফলটির সাথে সবাই নিশ্চয়ই পরিচিত। প্রচন্ড গরমের একটি স্বাস্থ্যকর ফল হল এই তরমুজ। অতিরিক্ত দাবদাহে আপনি যখন প্রায় ক্লান্ত তখন এক ফালি তরমুজ আপনার দেহে এমন সব পুষ্টিকর উপাদান প্রদান করে থাকে যার ফলে আপনি তৎক্ষণাৎ কিছুটা এনার্জি ফিরে পাবেন। আর এই রমজান মাসে ইফতারেও খেতে পারেন এই পুষ্টিকর ফলটি। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে তরমুজে দৈনিক চাহিদার প্রায় ৪৬ শতাংশ ক্যালরি, ২০ শতাংশ ভিটামিন সি এবং ১৭ শতাংশ ভিটামিন এ রয়েছে। তাই এই গরমে বেশি পরিমাণে তরমুজ খাওয়া প্রয়োজন। আসুন জেনে নিই এই পুষ্টিকর তরমুজ ফলের কিছু স্বাস্থ্যকর উপকারিতা।
১. লাইকোপেনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে :
লাইকোপেন শরীরের এমন একটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা সুপার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার নির্মূল করে থাকে। টমেটোতে যে পরিমাণ লাইকোপেন থাকে তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে লাইকোপেন থাকে রমজানে ইফতারে খাওয়ার যোগ্য এই ফলটিতে। একটি টমেটোতে লাইকোপেন থাকে ৪ মিলিগ্রাম আর তরমুজে থাকে ৬ মিলিগ্রাম যা অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।
২. তরমুজের জুস পেশীর ব্যথা নির্মূল করে :
অনেক সময় দেহের বিভিন্ন পেশীর ব্যথা হয়ে থাকে। বিশেষ করে রমজান মাসে সারাদিন রোজা রেখে যখন ইফতার করা হয় এর পরপরই সারা দেহে এক ধরনের অসহ্য ব্যথা অনুভূত হতে থাকে। এসব ব্যথা নির্মূল করতে পারের এই স্বাস্থ্যকর ফলটি। কেননা এতে থাকা সাইট্রুলাইন বিভিন্ন ধমনীর ফাংশন এর উন্নতি করে থাকে এবং নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
৩. এতে শুধু ফল নয় সবজিরও গুণাগুণ রয়েছে:
ফলের নানা গুণাগুণের পাশাপাশি তরমুজে সবজিরও নানা ধরনের গুণাগুণ বর্তমান। এটি শসা, কুমড়ার মত এক প্রকারের সবজি হিসেবেও কাজ করে থাকে। তাই এই রমজানে এই সুমিষ্ট ফলটি খুব সহজেই আহার করতে পারেন।
৪. এর পুরোটাই পানি দিয়ে তৈরি :
তরমুজে প্রায় ৯১.৫ শতাংশ শুধু পানিই রয়েছে যা এই রমজান মাসে আপনার দেহের পানির চাহিদা খুব সহজেই পূরণ করে থাকে। তাই দেহের পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে আপনি ইফতারে অবশ্যই কিছুটা তরমুজ খেয়ে ফেলতে পারেন।