সাময়িকী.কম
রাসেল চৌধুরী, কক্সবাজার থেকে : ইয়াবার রাজা হিসাবে এতোদিন আলোচনায় ছিলেন কক্সবাজারের সরকারদলীয় এমপি আবদুর রহমান বদি। তার ছত্রচ্ছায়ায় ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত রয়েছে অসংখ্য লোক। এমপি বদির আপন চার ভাই ও দুই সৎভাই এ তালিকায় রয়েছেন। রয়েছেন তার অনেক অনুসারীও। তবে কোনবারই তার স্ত্রীর কথা শোনা যায়নি। এবার এ তালিকায় যুক্ত হলো স্ত্রী সাকীও। মঙ্গলবার জেলার চকরিয়ায় ইয়াবা পাচারকারী সন্দেহে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি আবদুর রহমান বদির স্ত্রী শাহিনা আক্তার সাকী ও অপর এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। মহিলা কনস্টেবল দ্বারা দেহও তল্লাশি করা হয় দু’জনের। দীর্ঘ ৫ ঘন্টা ধরে থানায় আটক থাকার পর ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাত দশটায় থানা থেকে ছাড়া পায় তারা। এদিকে এমপি বদির স্ত্রী সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে চকরিয়ায় আসা, সিএনজি থেকে নেমে হাইয়েজে ওঠা, ইয়াবা পাচারকারী সন্দেহে জনতা কর্তৃক আটক ও তাদের জিম্মিদশা থেকে পুলিশ গিয়ে উদ্ধারের ঘটনাটি নানা রহস্যের জন্ম দিয়েছে। অপরদিকে এমপি বদির স্ত্রী চকরিয়ায় আটক হয়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো জেলায় তোলপাড় শুরু হয়। টক অব দ্য ডিস্ট্রিকে পরিণত হয় খবরটি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কক্সবাজার শহর থেকে সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশায় করে সাকেরুন্নেছা সাকী ও তার অপর এক বান্ধবী বিকাল ৫টার দিকে চকরিয়া পৌর শহর চিরিঙ্গাস্থ পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় নামেন। এরপরই তারা অপর একটি হাইয়েজে (মাইক্রোবাস) ওঠে পড়লে উৎসুক মানুষ ইয়াবা পাচারকারী সন্দেহে তাদের ঘিরে ধরে। পরে থানার টহল পুলিশের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন মহিলা কনস্টেবলসহ পুলিশ জনতার জিম্মিদশা থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় তাদের দেহ তল্লাশি করা হয়। তবে অপর একটি সূত্র জানায়, পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসার পর এমপি বদির স্ত্রী পরিচয় পেয়ে মহিলা কনস্টেবলদের জন্য সংরক্ষিত রুমে তাদের বসতে দেয়া হয়। সেখানে তারা দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা অবস্থান করে। এই সময়ের মধ্যে চারদিকে প্রচার পায় এমপি বদির স্ত্রী ইয়াবা সহ চকরিয়া থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। আরেকটি সূত্র জানায়, সাকেরুন্নেসা সাকীর কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে না পারলেও তার অপর বান্ধবীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু এমপি বদির স্ত্রীর বান্ধবী হওয়ায় পুলিশ তা রহস্যজনক কারণে সাংবাদিকদের কাছে গোপন করেছেন। সূত্রটি আরও দাবি করেছেন, এমপি বদির স্ত্রী ঠিকই ইয়াবার বড় চালান পাচারের উদ্দেশ্যে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে চকরিয়ার ওপর দিয়ে যাচ্ছিলেন। জনতা কর্তৃক আটকের সময় ইয়াবার চালানটি তার নেটওয়ার্কে থাকা অপরাপর সদস্যরা (পুরুষ) কৌশলে সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। তাই তারা ধরা পড়লেও ইয়াবা ঠিকই হাতবদল হয়ে গেছে। এমপি বদির স্ত্রী সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে চকরিয়ায় আসা, সিএনজি থেকে নেমে হাইয়েজে ওঠার সময় ইয়াবা পাচারকারী সন্দেহে জনতা কর্তৃক আটক ও তাদের জিম্মিদশা থেকে পুলিশ গিয়ে উদ্ধারের ঘটনাটি নানা রহস্যের জন্ম দিয়েছে। সচেতন অনেক ব্যক্তি বলেছেন, এমপি বদির স্ত্রী সিএনজি নিয়ে কেন চকরিয়ায় এলেন। আবার গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ কেন তাদের আটক করলেন এমন অনেক রহস্যঘেরা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বমহলে। বিভিন্ন সূত্র জানায়, সমপ্রতি (ঈদের সময়) দ্বিতীয় স্ত্রী সাকেরুন্নেসা সাকীকে নিয়ে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মিয়ানমার ঘুরে আসেন এমপি বদি। গত দুইদিন আগে তারা দেশে আসেন। দেশে আসার পর সাকী সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে চকরিয়ায় এসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়, দ্বিতীয় স্ত্রী সাকী চকরিয়া থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এমন খবর শোনার পর এমপি বদি নড়েচড়ে বসেন। তিনি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তার স্ত্রীর ছবি যাতে কোন সাংবাদিক তুলতে না পারেন। এ কারণে রাত দশটার দিকে চকরিয়া থানা পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের একটি নোয়া গাড়িতে তুলে দিয়ে পুলিশ পাহারায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্য কিছু দূর এগিয়ে দেন। জনতার জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এমনকি উদ্ধারকৃতদের কোন নাম-ঠিকানা পর্যন্ত টুকে নেয়া হয়নি বলেও জানান। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, যে সময় তাদের জনতার জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করা হয় তখন আমি চকরিয়ার বাইরে ছিলাম। রাত দশটার দিকে আমি থানায় আসি।
এরপর জানতে পারি বিষয়টি। তবে এমপি বদির স্ত্রী ও তার বান্ধবীর কাছ থেকে কোন ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়নি বলে তিনি দাবি করেন। কক্সবাজার সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, পুলিশ তাদের আটক করেনি। জনতার জিম্মিদশা থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করেছে। তবে তাদের কাছে কোন ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, আবদুর রহমান বদির আপন ভাই মো. আবদুল শুক্কর ও মৌলভী মুজিবুর রহমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। এমপির আরও দুই সৎভাই আবদুল আমিন ও ফয়সাল রহমানও ইয়াবা ব্যবসা করেন। আর এ চার ভাইকে দিয়ে এক অপ্রতিরোধ্য ইয়াবা সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন আবদুর রহমান বদি। চার ভাই ছাড়াও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমপি বদির বেয়াই আখতার কামাল, শাহেদ কামাল, মামা হায়দার আলী ও মামাতো ভাই কামরুল ইসলাম রাসেল। এছাড়া পারিবারিক এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করেছেন বোনের ছেলে নীপুকে। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো ইয়াবা ব্যবসায়ী সন্দেহে আটক হয়ে এ তালিকায় যুক্ত হলো স্ত্রী সাবেকুন্নাহার সাকী। সূত্র : মানবজমিন
এমপি আবদুর রহমান বদি ও স্ত্রী শাহিনা আক্তার সাকী |
রাসেল চৌধুরী, কক্সবাজার থেকে : ইয়াবার রাজা হিসাবে এতোদিন আলোচনায় ছিলেন কক্সবাজারের সরকারদলীয় এমপি আবদুর রহমান বদি। তার ছত্রচ্ছায়ায় ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত রয়েছে অসংখ্য লোক। এমপি বদির আপন চার ভাই ও দুই সৎভাই এ তালিকায় রয়েছেন। রয়েছেন তার অনেক অনুসারীও। তবে কোনবারই তার স্ত্রীর কথা শোনা যায়নি। এবার এ তালিকায় যুক্ত হলো স্ত্রী সাকীও। মঙ্গলবার জেলার চকরিয়ায় ইয়াবা পাচারকারী সন্দেহে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি আবদুর রহমান বদির স্ত্রী শাহিনা আক্তার সাকী ও অপর এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। মহিলা কনস্টেবল দ্বারা দেহও তল্লাশি করা হয় দু’জনের। দীর্ঘ ৫ ঘন্টা ধরে থানায় আটক থাকার পর ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাত দশটায় থানা থেকে ছাড়া পায় তারা। এদিকে এমপি বদির স্ত্রী সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে চকরিয়ায় আসা, সিএনজি থেকে নেমে হাইয়েজে ওঠা, ইয়াবা পাচারকারী সন্দেহে জনতা কর্তৃক আটক ও তাদের জিম্মিদশা থেকে পুলিশ গিয়ে উদ্ধারের ঘটনাটি নানা রহস্যের জন্ম দিয়েছে। অপরদিকে এমপি বদির স্ত্রী চকরিয়ায় আটক হয়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে পুরো জেলায় তোলপাড় শুরু হয়। টক অব দ্য ডিস্ট্রিকে পরিণত হয় খবরটি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কক্সবাজার শহর থেকে সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশায় করে সাকেরুন্নেছা সাকী ও তার অপর এক বান্ধবী বিকাল ৫টার দিকে চকরিয়া পৌর শহর চিরিঙ্গাস্থ পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় নামেন। এরপরই তারা অপর একটি হাইয়েজে (মাইক্রোবাস) ওঠে পড়লে উৎসুক মানুষ ইয়াবা পাচারকারী সন্দেহে তাদের ঘিরে ধরে। পরে থানার টহল পুলিশের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন মহিলা কনস্টেবলসহ পুলিশ জনতার জিম্মিদশা থেকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় তাদের দেহ তল্লাশি করা হয়। তবে অপর একটি সূত্র জানায়, পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসার পর এমপি বদির স্ত্রী পরিচয় পেয়ে মহিলা কনস্টেবলদের জন্য সংরক্ষিত রুমে তাদের বসতে দেয়া হয়। সেখানে তারা দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা অবস্থান করে। এই সময়ের মধ্যে চারদিকে প্রচার পায় এমপি বদির স্ত্রী ইয়াবা সহ চকরিয়া থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। আরেকটি সূত্র জানায়, সাকেরুন্নেসা সাকীর কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে না পারলেও তার অপর বান্ধবীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু এমপি বদির স্ত্রীর বান্ধবী হওয়ায় পুলিশ তা রহস্যজনক কারণে সাংবাদিকদের কাছে গোপন করেছেন। সূত্রটি আরও দাবি করেছেন, এমপি বদির স্ত্রী ঠিকই ইয়াবার বড় চালান পাচারের উদ্দেশ্যে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে চকরিয়ার ওপর দিয়ে যাচ্ছিলেন। জনতা কর্তৃক আটকের সময় ইয়াবার চালানটি তার নেটওয়ার্কে থাকা অপরাপর সদস্যরা (পুরুষ) কৌশলে সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। তাই তারা ধরা পড়লেও ইয়াবা ঠিকই হাতবদল হয়ে গেছে। এমপি বদির স্ত্রী সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে চকরিয়ায় আসা, সিএনজি থেকে নেমে হাইয়েজে ওঠার সময় ইয়াবা পাচারকারী সন্দেহে জনতা কর্তৃক আটক ও তাদের জিম্মিদশা থেকে পুলিশ গিয়ে উদ্ধারের ঘটনাটি নানা রহস্যের জন্ম দিয়েছে। সচেতন অনেক ব্যক্তি বলেছেন, এমপি বদির স্ত্রী সিএনজি নিয়ে কেন চকরিয়ায় এলেন। আবার গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ কেন তাদের আটক করলেন এমন অনেক রহস্যঘেরা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বমহলে। বিভিন্ন সূত্র জানায়, সমপ্রতি (ঈদের সময়) দ্বিতীয় স্ত্রী সাকেরুন্নেসা সাকীকে নিয়ে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মিয়ানমার ঘুরে আসেন এমপি বদি। গত দুইদিন আগে তারা দেশে আসেন। দেশে আসার পর সাকী সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে চকরিয়ায় এসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়, দ্বিতীয় স্ত্রী সাকী চকরিয়া থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এমন খবর শোনার পর এমপি বদি নড়েচড়ে বসেন। তিনি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তার স্ত্রীর ছবি যাতে কোন সাংবাদিক তুলতে না পারেন। এ কারণে রাত দশটার দিকে চকরিয়া থানা পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের একটি নোয়া গাড়িতে তুলে দিয়ে পুলিশ পাহারায় কক্সবাজারের উদ্দেশ্য কিছু দূর এগিয়ে দেন। জনতার জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এমনকি উদ্ধারকৃতদের কোন নাম-ঠিকানা পর্যন্ত টুকে নেয়া হয়নি বলেও জানান। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, যে সময় তাদের জনতার জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করা হয় তখন আমি চকরিয়ার বাইরে ছিলাম। রাত দশটার দিকে আমি থানায় আসি।
এরপর জানতে পারি বিষয়টি। তবে এমপি বদির স্ত্রী ও তার বান্ধবীর কাছ থেকে কোন ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়নি বলে তিনি দাবি করেন। কক্সবাজার সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, পুলিশ তাদের আটক করেনি। জনতার জিম্মিদশা থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করেছে। তবে তাদের কাছে কোন ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, আবদুর রহমান বদির আপন ভাই মো. আবদুল শুক্কর ও মৌলভী মুজিবুর রহমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। এমপির আরও দুই সৎভাই আবদুল আমিন ও ফয়সাল রহমানও ইয়াবা ব্যবসা করেন। আর এ চার ভাইকে দিয়ে এক অপ্রতিরোধ্য ইয়াবা সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন আবদুর রহমান বদি। চার ভাই ছাড়াও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমপি বদির বেয়াই আখতার কামাল, শাহেদ কামাল, মামা হায়দার আলী ও মামাতো ভাই কামরুল ইসলাম রাসেল। এছাড়া পারিবারিক এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করেছেন বোনের ছেলে নীপুকে। কিন্তু এই প্রথমবারের মতো ইয়াবা ব্যবসায়ী সন্দেহে আটক হয়ে এ তালিকায় যুক্ত হলো স্ত্রী সাবেকুন্নাহার সাকী। সূত্র : মানবজমিন