সাময়িকী.কম
একজন নারী ও পুরুষের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হয় বিয়ের মাধ্যমে। নতুন একটি জীবনে প্রবেশ করেন তারা। বিয়েটা ভালোবাসার বিয়ে কিংবা পারিবারিক পছন্দের বিয়ে যেভাবেই হোক না কেন বৈবাহিক সম্পর্কে যাওয়ার পর সত্যিকার অর্থেই নতুন একটি জীবনের সূচনা ঘটে। পারিবারিক পছন্দের বিয়েতে সম্পূর্ণ নতুন করে আবিষ্কার করেন একে অপরকে ঠিক তেমনই ভালোবাসার বিয়েতে প্রেমিক ও প্রেমিকা থেকে স্বামী ও স্ত্রীতে পরিণত হওয়ায় একই ধরণের নতুনত্ব থাকে।
বৈবাহিক জীবনের শুরুটা অনেক বেশি গুরুত্ব রাখে সম্পর্কে। অনেক দম্পতি এই সময়ে অনেক বড় কিছু ভুল করে থাকেন। কিন্তু এই সময়ের সামান্য ভুল দাম্পত্য জীবনে অনেক বড় প্রভাব ফেলতে পারে। দাম্পত্য জীবনের শুরুতে যদি কিছু ভুল এড়িয়ে চলা যায় তবে বৈবাহিক জীবন সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এবং একটি সুখি দম্পতি হিসেবে সুখের জীবন যাপন করা সম্ভব হয়।

পরিবারের সিদ্ধান্তকেই নিজেদের সিদ্ধান্ত ভাবতে থাকা

বিয়ের পর দুটি পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন হয়। কিন্তু দম্পতির জীবনের কোনো সিদ্ধান্তে পরিবারের অযাচিত হস্তক্ষেপ দাম্পত্য জীবনের জন্য অনেক খারাপ। অনেকেই মনে করে নতুন বিয়ে হয়েছে তাই পরিবারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কাজ করাই ভালো। কিন্তু এটি অনেক বড় একটি ভুল। পরিবারের মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন ঠিকই কিন্তু নিজেদের জন্য কোনটি ভালো হবে তার ভাবার দায়িত্ব তখন দম্পতির ওপর বর্তায়। এবং এটি পরবর্তী জীবনের জন্য ভালো।

একে অপরকে সময় না দেয়া

কাজের ব্যস্ততায় একে অপরকে দাম্পত্য জীবনের শুরুতেই সময় না দেয়া অনেক বড় একটি ভুল কাজ। অনেকেই আছেন ব্যস্ত থাকার কারণে এবং পারিবারিক নানা সমস্যায় পরে হানিমুনে যান না বা যেতে অনেক দেরি করেন যা করা একেবারেই উচিৎ নয়। কারণ পরিবার থেকে কিছুটা সময় আলাদা থেকে একে অপরকে বেশ কিছুটা সময় দিয়ে নিজেদের মধ্যের দূরত্বটা কমিয়ে নেয়া উচিৎ বৈবাহিক জীবনের শুরুতেই। তাই এই ভুলটি কখনোই করবেন না।

খুব দ্রুত সন্তান নেয়ার কথা ভাবা

পারিবারিক চাপে কিংবা নিজেদের ইচ্ছাতেই অনেকে বিয়ের ১ বছর পার হতে না হতেই সন্তান নিয়ে ফেলেন। অনেকের ধারণা সন্তান স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে গভীর করে তোলে। কিন্তু শুনতে খারাপ শোনালেও সত্যি যে বৈবাহিক জীবনের একেবারে শুরুতেই সন্তান নেয়া দাম্পত্যজীবনে খারাপ প্রভাব ফেলে থাকে। কারণ সন্তানের দিকে মনোযোগ সরে যাওয়ায় একে অপরের মধ্যে দাম্পত্যজীবনের শুরুতেই দূরত্ব চলে আসে। তাই খুব দ্রুত সন্তান না নিয়ে নিজেদের কিছুটা দিন সময় দিন।

একে অপরের আর্থিক অবস্থার কথা শেয়ার না করা

বিয়েতে যে খরচ হয়ে থাকে তা সকলেরই জানা। কিন্তু বিয়ের পরও অনেক বেশি খরচ হয় অনেক ফর্মালিটি পালন করতে গিয়ে। এই সময় আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে যেতেই পারে যে কারো। কিন্তু তা যদি নিজের ইগোর কারণে সঙ্গীর কাছে শেয়ার করতে না পারেন, যদি ভেবে থাকেন সঙ্গীকে শুরুতেই এই কথা বলা ঠিক নয় তাহলে ভুল করে ফেলবেন আপনি। এতে করে আপনাদের মধ্যে ভুল বোঝাবোঝির সৃষ্টি হবে। হয়তো আপনার সঙ্গী আপনার কাছে আশা করবেন অনেক কিছু যা আপনি আর্থিক কারণে দিতে পাড়ছেন না। যদি আপনি সঙ্গীকে আপনার আর্থিক অবস্থার কথা শুরুতেই জানিয়ে দেন তবে আপনার সঙ্গী আপনাকে বুঝবেন।

দৈহিক মিলনকে গুরুত্ব না দেয়া

অনেকেই মনে করেন মাত্র বিয়ে হয়ে দৈহিক সম্পর্কের জন্য পুরো জীবন থাকবে। একারণে এই শারীরিক চাহিদার কথা খুব বেশি গুরুত্ব সহকারে দেখেন না। কিন্তু মানুষের এই জৈবিক চাহিদার প্রভাব অনেক বেশি একটি সুখি দাম্পত্য জীবনে। আপনি আপনার দাম্পত্য জীবনের শুরুতে এই ব্যাপারে গুরুত্ব না দিলে আপনার সঙ্গীর মনে আপনার প্রতি ভুল ধারণার জন্ম হতে পারে। তাই এই ব্যাপারটি এড়িয়ে যাবেন না

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.