চলন্তিকা, তৃতীয়
বিশ্বের মত তোমার দেহে নির্ভার
অলস দুপুর ঘুমায় ।
অন্ধকার
চিবুতে চিবুতে তুমি এখন বেশ রাত্রিখোর!
তোমার
দেহের অলিগলিতে দখলবাজ-শক্তিমানের চাষাবাদ!
চলন্তিকা, তুমি এখনো জানলেই না তোমার
শীর্ণ দেহের জীর্ণ জানালা দিয়ে ঢুকে পড়েছে প্রাগৈতিহাসিক হাঙর।
অসম প্রেম
চুম্বনের স্বাদ নিয়ে পিঁপড়ার ঠোঁটে আল্পনা আঁকে শিকারী টিকটিকি,
প্রাগৈতিহাসিক ওড়নার আড়ালে একটুকরো অসম প্রেম রাতের দেঁতো হাসির মতই অদ্ভুত;
স্তব্ধতার মেরুকরণে যৌন নির্যাসহীন একটুকরো সুখ মহাকালের কপাল ছুঁয়ে
কপোলে।
শব্দের ডিম্বানু
পোয়াতি শব্দের ক্যানভাসে অলস দুপুর তৃপ্ততার ঢেঁকুর
তুলে, ভাষার কুল জুড়ে বৈষ্ণিক উষ্ণতা থার্মোমিটার ছাড়িয়ে; সাহিত্যের যৌন মিলনে বৈদেশিক শব্দের ডিম্বানু ঘন থেকে
ঘনতর, চিন্তার চৌরাঙ্গীতে সিঁদকাটা কাগুজে মন্বন্তর - তবুও ভাবের বধ্যভূমিতে নীতির ভেঁপু প্রযুক্তির
আগ্রাসনের অতিভুজ ধরে শীর্ষবিন্দুতে।
জাফলং, সিলেট