অ
আজিজ খোরশেদ
মণ্ডলের বাড়িতে আট বছর বয়স থেকেই ভাত ময়নায় কাজ করত। বছর দু’য়েক পর সে মাসে ত্রিশ টাকা এবং তার এক বছর পর
মাসে ষাট টাকা এভাবে প্রতিবছর তার মাইনে বাড়তেই থাকে। আজিজ প্রায় বার বছর ধরে
খোরশেদের বাড়িতে কাজ করে আসছে। তার বিশেষ কাজ হল মণ্ডলের একপাল গরুর দেখাশুনা
করা। এবং তার অনাবিদী জমি চাষাবাদ করা। খোরশেদের আট ছেলেমেয়ে। তারা কেউ কৃষি কাজের সাথে জড়িত নয়। কোনদিনই
খোরশেদের ছেলেমেয়েরা তার কোন কাজে একটু সহযোগিতাও করে নি। বরং কখনো তার কোন
প্রকার ভুলের গন্ধ পেলেই লাঠি-সোঠা দিয়ে বেদম প্রহার করত।
আজিজের এই জগৎ
সংসারে আপন কেউ থেকেও নেই। যে দুই ভাই বেঁচে আছে তারাও আজিজের মতই অন্যের বাড়িতে
কাজ করে। কাজেই আজিজ কারও কাছেই নিজের দুঃখের কথা প্রকাশ করতে পারে না। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই বলে অনেকটা অসহায় নির্বোধের মত বাধ্য হয়ে
খোরশেদের পরিবারের সকল সদস্যদের অমানবিক নির্যাতন ও নিপীড়ন হাসি মুখেই মেনে নেয়।
পরিবারের সকলে
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে গাছের ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিলেও আজিজের ভাগ্যে সেরকম সুযোগ
কখনোই হয়ে ওঠে নি। প্রতিটা
মুহূর্তেই তাকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকতে হয়। সুখ কিংবা প্রেম করার মত ভাব কিংবা কল্পনা
করার অবকাশ তার এই চব্বিশ বছরের জীবনে হয়ে ওঠে নি। ভাল খাবার চোখে দেখলেও কখনোই তা স্পর্শ করার
সৌভাগ্য হয়ে ওঠে নি। সকাল বেলা খোরশেদের বাড়ির সবাই মাংস পোলাও খেলেও তার ভাগ্যে
কেবল পারি ভাতই জোটে!
মানসিক এবং শারীরিক
কষ্টে প্রতি মুহূর্তেই সে জর্জরিত। বিনোদন কী জিনিস এইটুকু বয়সেও সে তার রসদ পায়
নি। সুবহে সাদিকের আগে তাকে উঠতে হয়। সমস্ত দিন চলে
বিরতিহীন কর্ম। শয়ন কক্ষে যেতে যেতে তার কখনো প্রায় মধ্যরাত হয়ে যায়।
খোরশেদের
স্ত্রীর খাবার পরিবেশন তার কোনদিনই ভাল লাগেনি। তরকারির বাটিতে চামিচ রেখে শুধু বারবার
বলে- আরও এটটু দেই? আরও এটটু...?
কিন্তু দেয় না। এই কু অভ্যাস তার চিরায়ত স্বভাবে পরিণত হয়েছে। আজিজ খুব
মনক্ষুণ্ন হলেও তার আচার আচরণে কখনোই তা প্রকাশ পেত না। দীর্ঘ বার বছর ধরে কখনোই
সে কোন প্রকার খানা-দানার ক্ষেত্রে
আগ্রহ প্রকাশ করে নি। তাকে যখন যা দেওয়া হয়েছে তখন তা-ই সে প্রফুল্লচিত্তে খেয়েছে। এবং তাতেই সে
সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করেছে।
আ
একবার খোরশেদের
বড় মেয়ের একটি হাতঘড়ি বাড়ি থেকে হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গেল। কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না। সবার দৃষ্টি তখন আজিজের দিকে। আজিজই এ কাজ
করেছে। সবাই মিলে কোন
প্রমাণ ছাড়াই আজিজকে চোর সাব্যস্ত করল। আজিজ কাকুতি মিনতি করে বলে- আমি গরি নেই নাই, আমি গরি দিয়া কি করমু? আমি তো টাইম-ই জানি না।
খোরশেদের ছেলে
মান্নান কর্কশ স্বরে বলে- তুই না নিলে ক্যারা নিছে?
-আল্লার কসম, আমি গরি নেই নাই,
-ওই হারামির
বাচ্চা! তাইলে কি আমরা
গরি হাইরা থুইয়া তর লগে নাটং করতাছি?... ঐ তরা মার হারামির বাচ্চারে।
কথাটি শেষ হতেই
সে আজিজের উপর কিল-ঘুষি শুরু করে
দিল। শুধু মান্নান নয়, লতিফ, জুয়েলসহ তার বোনেরাও এই সুযোগে তার উপর চড়াও
হল। যে বোন মারার সুযোগ পেল না, সে জোড়ালো কণ্ঠে বললো- চুরের বাচ্চারে মার, আরও মার...। কেউ মারছে হাত
দিয়ে আবার কেউবা লাঠি দিয়ে। বর্ষার সময় আকাশ থেকে যেমন অঝর ধারায় বৃষ্টি বর্ষিত হয়
তেমনিই যেন তার শরীরের উপর প্রহার বর্ষিত হচ্ছে! সবশেষে খোরশেদের স্ত্রী তাকে চোর বলে জুতা পিটা
করতেও বাকী রাখলো না।
প্রচণ্ড
প্রহারে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আজিজ। তার সমস্ত শরীর ফুলে যায়। মুখ ফুলে এমন বিকৃত
হয়েছে যে তাকে সহসা চেনাই যাচ্ছে না। যখন ঠোঁট বেয়ে অঝর ধারায় রক্ত বর্ষিত হলে
তখনই কেবল খোরশেদের পরিবারবর্গ প্রহার করা বন্ধ করে। এত প্রহারে জর্জরিত হয়েও সে কাউকেই কোন প্রকার
গালিগালাজ কিংবা অভিশাপ দেয় নি। কষ্টের তীব্রতায় তার চোখ দিয়ে শুধু অশ্রু গড়িয়ে
পড়ে। ঐ অশ্রু বড়ই বেদনা ভারাতুর! ঐ কষ্ট সহিষ্ণু অশ্রু বড়ই নীরব, প্রশ্নাতুর।
আজিজকে
প্রহারের দু’দিন পরেই
ঘড়িটির সন্ধান পাওয়া গেল। খোরশেদের বড় ছেলে লতিফের ঘরে। যে ঘরে আজিজের বার বছরের
মধ্যেও একটিবারও পা পড়ে নি! ধনীদের কোন কোন প্রাসাদে আজিজের মত নিম্নশ্রেণির লোকদের প্রবেশ সব সময়ই
নিষেধ থাকে। খোরশেদের মেঝ
মেয়ে সালমাই প্রথম ঘড়িটি একটি কুকুরের মুখে কামড়াতে দেখে। অবস্থা দেখে মনে হল
কুকুরটি বেশ ক্ষুধার্ত। ঘড়িটিকে হাড় মনে করেই হয়ত সে মুখে পুড়েছিল!
সত্য উদঘাটিত
হওয়ার পর তাদের একটিবারের জন্যও অনুশোচনায় দগ্ধ হতে দেখা যায় নি। আজিজের নিকট
দুঃখ প্রকাশও করে নি কিংবা তাকে কোন প্রকার সান্ত্বনাও দেয় নি। অনেক নিগ্রহ সহ্য হলেও চোরের
অপবাদ তার সহ্য হল না। তাই সে পণ করল খোরশেদের বাড়ির কাজ ছেড়ে দেবে। তার যে কথা সেই কাজ। খোরশেদের নিকট সে তার যাবতীয় পাওনা চাইল।
খোরশেদ তাকে অনেক বুঝাল। কিন্তু কোন প্রকার যুক্তিই আজ সে মানতে রাজি নয়। শেষটায়
খোরশেদ মনক্ষুণ্ন হল এবং টাকা দেওয়ার জন্য সপ্তাহ খানেক সময় নিল।
সপ্তাহখানেক পর খুব সূক্ষ্মভাবে হিসাব-নিকাশ শুরু হল। হিসাবের দিন আজিজের অন্য দুই ভাইসহ গ্রামের গণ্যমান্য কয়েকজন লোকও উপস্থিত
ছিল। হিসাব করে দেখা গেল আজিজ প্রায় ষোল হাজার টাকার মত পায় কিন্তু খোরশেদ তাকে দিচ্ছে দশ হাজার
টাকা। আজিজ জিজ্ঞেস করে- বাকী টেহা কই?
-বাকী টেহা তুই
পত্যেক মাসেই কিচু কিচু কইরা নিছত।
-আমি নিছি মানে?
-তুই নিছত মানে
তুই নিছত! এই যে সাদা
কাগজে তার তালিকা এবং তর টিপসই।
সবাই ভাল করে
খেয়াল করলো আজিজের খরচের তালিকা ও টিপসই।
আজিজ নীরব। তার
চোখ ছলছল করে ওঠে। যে দশদিন জ্বরে ভোগেও ঔষধের কথা বলে নি, দুটি টাকা খরচ করে নি, আজ তারই খরচের ফর্দ! এত বড় মিছা কতা! এতোবড় জালিয়াতি!!! আমি সইলেও আল্লায় সইবো না। মনে মনে কথাগুলো
বলতে বলতে ওর চেখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। বাম হাতে চোখ মুছে ডান হাতে টাকাগুলো নিয়ে কয়েক বার দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। মাথা
ঈষৎ নত করে বলে- বুল বেয়াদবি
মাপ কইরেন চাচা। কথাটি বলেই বাড়ির গোয়াল ঘরের দিকে তাকায়। গোয়ালের গরুগুলোও তখন
তার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে। মুহূর্তেই তার বুকের ভেতরটা হুহু করে ওঠে।
পুনরায় চোখ মুছতে মুছতে নিঃশব্দে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তার পিছনে পিছনে তার ভাইসহ অন্যান্যরাও বেরিয়ে
যায়।
ই
পরদিন। সকালবেলা।
নদীতে প্রবল বন্যা। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। বৃষ্টির ছন্দে ছন্দে যেন তরুণ
ব্যাঙেরাও ঈষৎ প্রতিযোগিতায় তাদের প্রিয়াদের ডাকছে। শীতকালে শিয়ালের দল যেমন
একসাথে কণ্ঠ মিলিয়ে ডাকে তেমনি আর কি! নদীর দূর প্রান্ত থেকে গ্রামের পরিচিত লোকের হাঁক-ডাকও শুনা যাচ্ছে। আশে পাশে কোথাও আজ বিড়ালের আনা গোনা নেই। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির গন্ধ পেয়েই বোধ করি তারা
প্রভুদের গৃহস্থলে গিয়ে বিশ্রাম করছে। অদূরে দু একটা মোরগ উচ্চস্বরে ডাকছে। যদিও নদীতে প্রবল
বন্যার উন্মত্ত গর্জনে সে ডাক ম্লান বলেই মনে হয়। নদীর তীর সংলগ্ন মেঠোপথ ধরে
পথিকের তেমন একটা আনাগোনা নেই বললেই চলে। দৃষ্টির আঙিনায় কেবল দু একটি কুকুরকেই দিকভ্রান্ত হয়ে ছুটাছুটি করতে
দেখা গেল।
ঠিক এমন সময় খোরশেদের
স্ত্রী ছাতা মাথায়
দিয়ে নদীর পাড়ে গিয়ে স্রোত দেখছে। শাঁ শাঁ গতিতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর দু’কূল ফুলে ফেঁপে ওঠেছে। নদীর তীর সংলগ্ন মেঠোপথ ধরে পথিকের তেমন একটা
আনাগোনা নেই বললেই চলে। গ্রামদেশে বন্যার সময় ছেলেবুড়োরা দলবেঁধে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। কেউ কেউ আবার বড় লগির আগায় আড়কা বেঁধে লাকড়িও
ধরে। তবে বৃষ্টি না
থাকলে লাকড়ি ধরার জন্য নারী পুরুষেরা বেশি ব্যকুল হয়ে ওঠে। খোরশেদের স্ত্রী
লাকড়ির খবরাখবর নেওয়ার জন্যই এসেছে। সে অন্যমনস্ক হয়ে জোয়ার দেখছে। পিছন দিক থেকে মান্নান ডাকে- মা। ডাক শুনে সে ফিরে তাকায়।
ঠিক ঐ সময় হঠাৎ করে মাটির চাপ ভেঙ্গে সে নদীতে পড়ে যায়।
পানির পাকে পড়ে প্রায় মিনিট খানেক পরে সে পানির নিচ থেকে ওঠে। সাঁতারও বেশ ভালভাবে
জানত বলে মনে হয় না। আর তাছাড়া নদীতে এমনই স্রোত যে, খুব শক্তিশালী সাঁতারুর পক্ষেও আজ ত্রিশ ফিট
দূর থেকে পাড়ে ভিড়তে হিমশিম খেতে হবে। আশে পাশের অনেক লোকে শুধু হায় হায় করছে। খোরশেদের ছেলেমেয়েরাও জোরে
জোরে মা মা বলে চিৎকার করছে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, এই ভরা জোয়ারের তীব্র স্রোতে কেউ তার মাকে
বাঁচানোর জন্য এগিয়ে যায় নি।
আজিজ ফরিদের
কাছ থেকে পাঁচটি বাঁশ কিনেছে। জমির মণ্ডলের বিশাল বাড়ির পরিত্যাক্ত একঘরে তার
ভাইয়েরা তাকে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। থাকার ব্যবস্থা হয়েছে বটে কিন্তু সে ঘরের
বেড়া ভাঙ্গা। কুকুর বিড়াল অনায়াসসেই আসা যাওয়া করে। তাই ঘরের বেড়া মেরামতের জন্যই সে ফরিদের কাছ
থেকে বাঁশ কিনেছে।
ফরিদের বাঁশঝাড়টি
নদীর ধারে। নিজের প্রয়োজনের কারণেই গুড়িগুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে আজিজ দা হাতে
নদীর ধারে এসেছে। মনোযোগ দিয়ে বাঁশ দেখার চেষ্টা করে। ফরিদের বাঁশঝাড় থেকে সে যে
কোন পাঁচটি বাঁশই নিতে পারবে। যেহেতু সে টাকা দিয়ে ফেলেছে সেহেতু সে বড় এবং মোটা বাঁশই তো নিবে! বড় এক বাঁশের সাথে একটি ডিঙ্গি নৌকা বাঁধা ছিল। সে
বাঁশটি দেখে তার বেশ পছন্দ হল। ডিঙি নৌকার রশি খোলার সময়ই সে পশ্চিম দিক হতে কতক
মানুষের তীব্র আর্তচিৎকার শুনতে পেল। কেডায় কান্দে? কেন কান্দে? মনে মনে প্রশ্নমালা তৈরি করছে আর নৌকার রশি
খুলছে। কিন্তু
আশ্চর্যে বিষয় হল আজ সে তাকাচ্ছেই না সে দিকে। এ জগৎ সংসারে কজনেই বা তার খবর রাখে! সুতরাং অন্যের খবর রাখাও তার জন্য জরুরি নয়! এমন ক্ষণে আবারও তীব্র আর্তনাতের করুণ সুর ভেসে
এল- মা, মা’রে বাঁচাও। কেউ আমার মাইরে বাঁচাও...।
মায়ের কথা
শুনতেই আজিজ ফিরে তাকাল। খুব ছোটবেলাতেই আজিজ তার মাকে হারিয়েছে। সেই থেকে আজও অবধি সে মায়ের
স্নেহ থেকে বঞ্চিত। তাই মা ডাক
শুনলেই তার বুকের ভেতরটা কেমন যেন হুহু করে ওঠে। আজিজ ভাল করে তাকায়- এ যে মান্নান ও তার বড় ভাই লতিফ! নদীর দিকে তাকাতেই সে এক অর্ধ ডুবন্ত মহিলাকে
দেখতে পেল। মহিলাটিকে চিনতে তার মোটেও অসুবিধে হল না। ক্ষণ মুহূর্তে কী যেন ভাবল সে- তারপর নিজেই অস্পষ্ট স্বরে বলল- নাহ্! এইডা ঠিক অইব না। এরপর সে আর কাল বিলম্ব না করে
মান্নানের মাকে বাঁচানোর জন্য ডিঙি নৌকা নিয়ে চলল।
এতই স্রোত এয
তার কাছে পৌঁছুতে প্রায় মিনিট পাঁচেক সময় লেগে গেল। শেষটায় খোরশেদের বউয়ের হাত
ধরে। নৌকায় টেনে তুলতে গিয়েই সে বিপাকে পড়ে গেল। সর্বনাশ! মহিলার শরীরের কোন কাপড় নেই। এক হাতে মহিলাকে
ধরে অন্য হাতে নৌকাটি তীরে ভিড়াতে চেষ্টা করে। কিন্তু চাইলেই
কি আর কিনারে ভীড়া যায়! অনেক কষ্টের পর প্রায় এক কিলোমিটার পিছিয়ে কিনারে ভিড়ে। বৈঠা রেখে এক হাত
দিয়ে নৌকা বাঁধে অপর হাত দিয়ে গায়ের চাদর
খুলে খোরশেদের স্ত্রীকে পানি থেকে জড়িয়েই ওপড়ে তুলে। একটু পর খোরশেদসহ প্রায় শ’দেড়েক মানুষ সেখানে জড়ো হয়।
বৃষ্টিতে ভিজে
আজিজ থরো থরো কাঁপছে। খোরশেদ তার স্ত্রীকে কাপড় পড়িয়ে কুলে তুলে নিয়ে বলল-আজিজ, আইজ তুমি যা করলা, তার জইন্য আমি চির ঋণি অইয়্যা গেলাম। বিকেল
বেলা তুমি একবার আমার বাড়ি আইয়ো।
কথাটি বলেই
খোরশেদ বাড়ির দিকে রওয়ানা দিল। উপস্থিত দর্শনার্থীদের অনেকেই সামনা সামনি আজিজের প্রশংসা করে চলছে। সেদিকে
আজিজের কোনই দৃষ্টি নেই। ওর দৃষ্টি খোরশেদের দিকে, তার স্ত্রীর দিকে। যতক্ষণ ওদের দেখা গেল ততক্ষণ
আজিজ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়েই রইল।
মুনশি আলিম
জাফলং, সিলেট