সাময়িকী.কম
মফিজুল সাদিক : মায়ানমার, চীন, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সড়কপথে যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আর এ জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা ধুনধুম থেকে মায়ানমার সীমান্তের টাংব্রো পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করবে বাংলাদেশ।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, দুই দেশের সীমান্তে দুই কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের ফলে মায়ানমার, চীন, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সড়কপথে সরাসরি যুক্ত হবে বাংলাদেশ। এতে করে এ দেশগুলোর মধ্যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে। সেই লক্ষ্যেই ‘বাংলাদেশ-মায়ানমার মৈত্রী সড়ক’ নির্মাণ করবে সরকার।
এই সংযোগ সড়কটি এ অঞ্চলের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার আরো উন্মোচনের পাশাপাশি রাজনৈতিক সুসম্পর্ক জোরদার করবে।
বাংলাদেশ-মায়ানমার মৈত্রী সড়ক নির্মাণ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যগ্ম-প্রধান সামছুল করিম ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, আঞ্চলিক সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে দুই কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। মায়ানমারের সঙ্গে এ সড়কটি নির্মিত হলে চীন, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আপনা-আপনিই উন্নয়নের ধারায় যুক্ত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেও সড়কটি নির্মাণ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে মায়ানমার সীমান্তে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা দায়িত্ব পালনে আরো স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, ‘বাংলাদেশ-মায়ানমার মৈত্রী সড়ক’ প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে নানা দিক দিয়ে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্থাপন হবে।
সংযোগ সড়কের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে বাংলাদেশের অর্থায়নে ৪৫ মিটারের একটি সেতুও তৈরি করা হবে।
এ বছরের জুলাই মাস থেকে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে। এ জন্য ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে। ২০১৭ সালের জুন মাস নাগাদ প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)।
প্রকল্পের ডিজাইন বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সওজ সূত্র জানায়, নো-ম্যানস ল্যান্ডে ৪৫ মিটারের একটি ব্রিজ (সেতু) নির্মাণ করা হবে। সওজের ডিজাইন ইউনিটের মতামতের ভিত্তিতে এটি নির্মিত হবে।
প্রকল্প এলাকায় একটি মসজিদ থাকায় সেটি পুনঃস্থাপন করা হবে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
সূত্রটি জানায়, প্রস্তাবিত সড়ক ও সেতুর ডিজাইনের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের টেকনিক্যাল সার্ভিস উইংয়ের মতামত নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, পরিকল্পনা সূত্র জানায়, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (ভৌত অবকাঠামো বিভাগ) আরাস্তু খানের সভাপতিত্বে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় প্রকল্পের ব্যয় কমানো হয়েছে। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ প্রকল্পটির প্রস্তাবিত ব্যয় নির্ধারণ করেছিল, ৮১ কোটি ৫ লাখ টাকা।
এরপর ব্যয় কমানোর জন্য পরিকল্পনা কমিশন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে প্রকল্পটি ফেরত পাঠায়। সর্বশেষ, পিইসি সভায় প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে, ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
মফিজুল সাদিক : মায়ানমার, চীন, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সড়কপথে যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আর এ জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা ধুনধুম থেকে মায়ানমার সীমান্তের টাংব্রো পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করবে বাংলাদেশ।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, দুই দেশের সীমান্তে দুই কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের ফলে মায়ানমার, চীন, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সড়কপথে সরাসরি যুক্ত হবে বাংলাদেশ। এতে করে এ দেশগুলোর মধ্যে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে। সেই লক্ষ্যেই ‘বাংলাদেশ-মায়ানমার মৈত্রী সড়ক’ নির্মাণ করবে সরকার।
এই সংযোগ সড়কটি এ অঞ্চলের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার আরো উন্মোচনের পাশাপাশি রাজনৈতিক সুসম্পর্ক জোরদার করবে।
বাংলাদেশ-মায়ানমার মৈত্রী সড়ক নির্মাণ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যগ্ম-প্রধান সামছুল করিম ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, আঞ্চলিক সম্পর্ক উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে দুই কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। মায়ানমারের সঙ্গে এ সড়কটি নির্মিত হলে চীন, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আপনা-আপনিই উন্নয়নের ধারায় যুক্ত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেও সড়কটি নির্মাণ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে মায়ানমার সীমান্তে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা দায়িত্ব পালনে আরো স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, ‘বাংলাদেশ-মায়ানমার মৈত্রী সড়ক’ প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে নানা দিক দিয়ে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্থাপন হবে।
সংযোগ সড়কের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে বাংলাদেশের অর্থায়নে ৪৫ মিটারের একটি সেতুও তৈরি করা হবে।
এ বছরের জুলাই মাস থেকে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে। এ জন্য ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে। ২০১৭ সালের জুন মাস নাগাদ প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)।
প্রকল্পের ডিজাইন বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সওজ সূত্র জানায়, নো-ম্যানস ল্যান্ডে ৪৫ মিটারের একটি ব্রিজ (সেতু) নির্মাণ করা হবে। সওজের ডিজাইন ইউনিটের মতামতের ভিত্তিতে এটি নির্মিত হবে।
প্রকল্প এলাকায় একটি মসজিদ থাকায় সেটি পুনঃস্থাপন করা হবে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
সূত্রটি জানায়, প্রস্তাবিত সড়ক ও সেতুর ডিজাইনের বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের টেকনিক্যাল সার্ভিস উইংয়ের মতামত নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, পরিকল্পনা সূত্র জানায়, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (ভৌত অবকাঠামো বিভাগ) আরাস্তু খানের সভাপতিত্বে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় প্রকল্পের ব্যয় কমানো হয়েছে। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ প্রকল্পটির প্রস্তাবিত ব্যয় নির্ধারণ করেছিল, ৮১ কোটি ৫ লাখ টাকা।
এরপর ব্যয় কমানোর জন্য পরিকল্পনা কমিশন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগে প্রকল্পটি ফেরত পাঠায়। সর্বশেষ, পিইসি সভায় প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে, ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম