সাময়িকী.কম : কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য সাধনা আক্তারকে ২ জন সঙ্গীসহ কারাগারে পাঠিয়েছে তিতাস থানা পুলিশ। শুক্রবার (১২ জুন) তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
উপজেলার গাজীপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী রুমি বেগম জানান, বৃহস্পতিবার উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মৃত সালাহ উদ্দিন জেকির স্ত্রী বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য সাধনা আক্তার তার স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে তার(সাধনা) ঘরে আটকে রেখে অন্য ছেলের সঙ্গে দৈহিক মিলনে বাধ্য করে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাধনার বাড়িতে ঢুকে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে। এসময় সাধনা মেম্বার, তার বোন রোজিনা আক্তার ও পার্শ্ববর্তী দাউদকান্দি উপজেলার বাসরা গ্রামের মৃত মোশারফের স্ত্রী রহিমাকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় উজ্জ্বল নামের একজন খদ্দের পালিয়ে যায়।
স্থানীয় সাংবাদিকদের সামনে সাধনা মেম্বারকে হাজির করা হলে তিনি জানান, রহিমা তার বাসায় বেড়াতে এসেছে। উজ্জ্বল টাকা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য তার বাসায় আসে। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তাকে আটক করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। একই সময় স্কুলছাত্রী সাধনার উপস্থিতিতে জানান, তাকে সাধনার বাসায় ডেকে নেয়া হয়। বাইরে থেকে সাধনা দরজা বন্ধ করে দেয় এবং ভেতরে থাকা একজন পুরুষ জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। লোকজন হট্টগোল শুরু করলে সাধনা ঘরের অন্য দরজা দিয়ে পুরুষ লোকটিকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে।
একাধিক ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসী জানান, গাজীপুর নিজ বাড়িতে দীর্ঘদিন যাবৎ সাধনা মেম্বার বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়ে এনে দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী তাকে আরেকবার পুলিশে সোপর্দ করলেও প্রভাবশালী মহলের তদবিরে সে ছাড়া পেয়ে যায়।
তিতাস থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা রুমি বেগম বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেছে। মেম্বার সাধনাসহ গ্রেফতারকৃত আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমকে মেডিকেল চেক আপ করার জন্য কুমিল্লায় পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি উজ্জ্বলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সূত্র : দৈনিক মানবকন্ঠ