বহুল আলোচিত ‘নৌদুর্ঘটনা প্রতিরোধ প্রকল্প’ এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নৌদুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারা। অন্য দিকে কাল বৈশাখীর মওসুম চলে আসায় নৌপথের যাত্রীরা রয়েছেন আতঙ্কে। তাদের ভয় ফিটনেসবিহীন নৌযান নিয়ে।
দৈনিক নয়াদিগন্তের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ’র এক শ্রেণীর অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় এখনো বিভিন্ন রুটে ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চলাচল করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু ঈদ নয়, সারা বছরই চলছে এসব নৌযান। তবে ঈদের সময় এসব নৌযানের চলাচল বেড়ে যায়। চলাচলের অনুপযোগী ‘সি’ ক্যাটাগরির যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো আগের মতোই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বর্তমান ও বিগত সরকারের আমলে এ লঞ্চগুলো চলাচলের ওপর একাধিকবার বিধি-নিষেধ আরোপের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে নৌ মন্ত্রণালয়।
নৌদুর্ঘটনা প্রতিরোধ প্রকল্পে তিনটি উপকরণ রাখা হয়েছিল। এগুলো হচ্ছে- স্থানীয়ভাবে আবহাওয়া বার্তা সংগ্রহ করে নৌযানগুলোকে সতর্কীকরণের জন্য ১১টি স্থানে আবহাওয়া কেন্দ্র স্থাপন, নিরাপদ জাহাজ নির্মাণের জন্য টোয়িং ট্যাংক স্থাপন ও ইনকাইনেশন টেস্ট এবং বিদ্যমান নৌযানগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে একটি রিভলভিং ফান্ড গঠন। গুরুত্বপূর্ণ যে ১১টি স্থানে আবহাওয়া স্টেশন স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো হচ্ছেÑ আশুগঞ্জ, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর, বরিশাল, কাউখালী, পটুয়াখালী, রামগতি, পাটুরিয়া বা আরিচা, বাঘাবাড়ী ও মাওয়া। প্রকল্পের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বলা হয়েছে, যেখানে সেখানে লঞ্চ তৈরি করা যাবে না। শুধু সরকারের তালিকাভুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন ডকইয়ার্ডগুলোতেই লঞ্চ তৈরি করা যাবে- তবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত এখনো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ঢিলেঢালা প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার মধ্যে চলাচলের অযোগ্য লঞ্চ যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।
দৈনিক নয়াদিগন্তের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, একশ্রেণীর অসাধু নৌকর্মকর্তার যোগসাজশে সংশ্লিষ্ট মালিকেরা অযোগ্য লঞ্চ ও অন্যান্য নৌযান চলাচলের সুযোগ পায়। ব্যবস্থাপনা ও পদ্ধতিগত উন্নয়ন এবং তদারকিব্যবস্থা জোরদার করার মাধ্যমে নৌনিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের কোনো প্রয়াস দেখা যায়নি। অবশ্য নৌদুর্ঘটনা রোধে নানা পদক্ষেপ রয়েছে কাগজে-কলমে। সারা দেশে ফিটনেসবিহীন কতগুলো নৌযান রয়েছে, তার কোনো পরিসংখ্যান সরকারের সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থার কাছে নেই। এর মধ্যে রয়েছে যাত্রীবাহী, লঞ্চ, ট্রলার, নৌকা ও কার্গো।
সূত্র: দৈনিক নয়াদিগন্ত

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.