ভুবন ভোলানো হাসির জন্য সব চাইতে জরুরী যে জিনিসগুলোর প্রয়োজন তার মধ্যে দাঁত অন্যতম। প্রবাদেই বলা হতো হাসিতে মুক্তো ঝরে। আসলেই, ঝকঝকে দাঁতের অধিকারী মানুষ হাসলে তাদের হাসি দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। কারণ সত্যিকার অর্থেই যেন হাসিতে মুক্তো ঝরে। কিন্তু আমরা অনেকেই এই সৌন্দর্যের প্রতীক দাঁতের যত্নে অনেক অবহেলা করে থাকি। একেবারে বিপদে না পড়লে ভালো করে দাঁতের যত্ন নিতে চাই না।
এটা একেবারেই ঠিক নয়। সব সময়েই দাঁতের যত্ন করা সবার উচিৎ। এতে করে দাঁত থাকবে ঝকঝকে সুন্দর। চলুন তবে দেখে নিই মুক্তো ঝরানো হাসি এবং ঝকঝকে দাঁত পেতে আমাদের কি করা উচিৎ এবং কি করা উচিৎ নয়।
এটা একেবারেই ঠিক নয়। সব সময়েই দাঁতের যত্ন করা সবার উচিৎ। এতে করে দাঁত থাকবে ঝকঝকে সুন্দর। চলুন তবে দেখে নিই মুক্তো ঝরানো হাসি এবং ঝকঝকে দাঁত পেতে আমাদের কি করা উচিৎ এবং কি করা উচিৎ নয়।
দাঁতের যত্নে যা অবশ্যই করবেন
- - ভালো টুথব্রাশ নির্বাচন করুন। আজেবাজে টুথব্রাশ ব্যবহার করবেন না। এতে দাঁতের ক্ষতি হয় অনেক। ভালো কোনো ব্র্যান্ডের টুথব্রাশ কিনুন।
- - প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করুন। এবাদে যদি মনে হয় টুথব্রাশ আপনার মাড়ি এবং দাঁতের জন্য উপযোগী নয় তবে সাথে সাথে তা পরিবর্তন করে ফেলুন। কারণ খারাপ টুথব্রাশ আপনার দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগের জন্য দায়ী।
- - দাঁত ব্রাশের পাশাপাশি অবশ্যই জিহ্বা পরিষ্কার করবেন। জিহ্বা অপরিস্কার থাকলে তা দাঁতের জন্য অনেক খারাপ। অপরিস্কার জিহ্বায় যে ব্যাকটেরিয়া থাকে তা দাঁতের রঙ হলুদ করার জন্য দায়ী।
- - যে সব ফল এবং সবজি দাঁতের রঙ পরিবর্তনে বাঁধা দেয় সে সব ফল ও সবজি যেমন আপেল, গাজর, শসা ইত্যাদি নিয়মিত খাবেন। এতে করে দাঁত থাকবে ঝকঝকে সাদা এবং মাড়িও থাকবে স্বাস্থ্যবান।
- - যে সকল ফল দাঁতের রঙ পরিবর্তনের জন্য দায়ী, যেমন ভিটামিন সি জাতীয় ফল, লেবু, কমলা ইত্যাদি খাওয়ার পর অবশ্যই ভালো করে পানি দিয়ে কুলকুচা করে নেবেন। ভিটামিন সি জাতীয় ফলের অ্যাসিড দাঁতের ক্ষয় করে। তাই পানি দিয়ে কুলকুচা করা অত্যন্ত জরুরী।
দাঁতের সুরক্ষায় যা একেবারেই করবেন না
- - ঘন ঘন টুথপেস্ট পরিবর্তন থেকে বিরত থাকুন। ৬-৮ মাস পর্যন্ত একই টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
- - কোমল পানীয় থেকে দূরে থাকুন। কোমল পানীয় দাঁতের ওপরের এনামেলের অনেক ক্ষতি করে এবং ক্ষয় করে ফেলে। এতে করে দাঁত হলুদ হয়ে যায়।
- - যে সকল খাবার দাঁতের রঙ পরিবর্তনের জন্য দায়ী সে সকল খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।