আমাদের অনেকেরই জানা আছে যে গ্রিন টি জিনিসটা ভালো। এটার স্বাদ তত ভালো না লাগলেও অনেকেই পান করেন স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য। কিন্তু শুধু গ্রিন টিই কি উপকারী? আমাদের পরিচিত রঙ চায়ের কোনো উপকারিতা নেই? আছে বটে। চায়ের পাতায় এমন সব উপাদান পাওয়া গেছে যা শরীরের বিভিন্ন উপকারে আসে। খুব বেশি পরিমানে পান না করলে চা থেকে ক্ষতি হবার কোনো আশংকা নেই। বরং স্বাস্থ্যের ওপর এর আছে সুদূরপ্রসারী এবং দীর্ঘস্থায়ী কিছু উপকারিতা। সবুজ চা এবং রঙ চা দুটোই এক্ষেত্রে উপকারী।

স্মৃতি

ছোট ছোট ব্যাপারগুলো ভুলে যাচ্ছেন? চা পান করলে উপকার পেতে পারেন। এই মার্চে সাইকোফার্মাকোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, সবুজ চা আমাদের সক্রিয় স্মৃতিকে ভালো রাখ, মস্তিষ্কের কিছু অংশকে সুস্থ রাখে। যারা নিয়মিত চা পান করে থাকনে, অন্যদের তুলনায় তাদের স্মৃতিশক্তি ভালো হতে দেখা যায়।

মুখের স্বাস্থ্য

মাউথওয়াশ ব্যবহারের মতোই কাজ করতে পারে চা পান। কালো এবং সবুজ চায়ে রয়েছে এমন সব উপাদান যা মুখে ব্যাকটেরিয়ার বাড় কমিয়ে রাখে। এতে দাঁতের ক্যাভিটি, ইনফেকশন এবং মাড়ির অসুখ কম হয়। দাঁতে ময়লা জামার পরিমাণও কম হয়। তবে এক্ষেত্রে লেবু চা, খুব বেশি মিষ্টি চা বা টক স্বাদযুক্ত চা না পান করাই ভালো। এতে মুখের অ্যাসিডিটি বেড়ে দাঁত ক্ষয় হবে আরও বেশি।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

চায়ে থাকে পলিফেনল নামের কিছু উপাদান, যাদের ক্যান্সার কমানোর বৈশিষ্ট্য আছে বলে মনে করা হয়। প্রায় ৫০০ মানুষের চা পানের অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যারা নিয়মিত চা পান করেন তাদের চাইতে অন্যদের ফুসফুসের ক্যান্সার হবার আশঙ্কা প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। শুধু তাই নয়, ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে টিউমারের বৃদ্ধি কমিয়ে রাখতেও চা পান সাহায্য করে। বিভিন্ন প্রানির ওপর গবেষণা করে দেখা যায়, চায়ে থাকা পলিফেনল ক্যান্সার সৃষ্টিকারী প্রোটিনের বিরোধিতা করে থাকে।

পেশির শক্তি বৃদ্ধি পায়

পেশির শক্তি কমে যায় কেন? বয়সের সাথে সাথেশরীরে কিছু অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ দেখা যায় যারা পেশি এবং হাড় ক্ষয় করে ফেলে। এদের কাজে বাধা দিতে পারে চা, এবং এভাবেই বাড়িয়ে তোলে পেশির শক্তি। গবেষণার মাধ্যমেও এই বিষয়ের সত্যতা যাচাই করা হয়েছে।

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.