বলিউডে ইতোমধ্যেই নিজের অবস্থানটি পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন এই অভিনেত্রী। আকর্ষণীয় লম্বা পায়ের অধিকারিণী এই অভিনেত্রী কেড়ে নিয়েছেন হাজার পুরুষের রাতের ঘুম। আজ বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মার ২৬ তম জন্মদিন। আর এই দিনটি উপলক্ষে আপনাদের জন্য নিয়ে হাজির হলাম বলিউডের রূপসী অভিনেত্রী আনুশকা শর্মার শৈশবের কিছু অদেখা মুহূর্ত নিয়ে যা আগে আপনি কখনোই দেখেননি।
১৯৮৮ সালের এই দিনে ভারতীয় আর্মির কর্নেল অজয় কুমার এবং গৃহিণী আশিমা শর্মার কোল জুড়ে এল দ্বিতীয় সন্তান। দ্বিতীয় সন্তানটি কন্যা হওয়ায় যেন একেবারে পরিপূর্ণ ছিল এই দম্পতির সংসার। এই কন্যা সন্তানটি আর কেউ নন বলিউডের আজকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা।
আর্মিতে থাকায় খুব একটা বেশী সময় বাবাকে কাছে না পাওয়ায় একমাত্র বড় ভাই কারনেস শর্মার সাথেই একাত্মতা গড়ে ওঠে এই অভিনেত্রীর। মুক্তমনা পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় আনুশকার বাল্য কালের স্বপ্ন অচিরেই বাস্তবে রূপান্তর হয়। এই অভিনেত্রী ছোটবেলা থেকেই নামকরা একজন মডেল হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন।
আনুশকাকে সিনেমায় দেখে দেখে এতদিনে ভক্তরা কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেড়েছেন তার অভিনয় দক্ষতা সম্পর্কে। আর এত অল্প সময়ে জনপ্রিয়তার শেখরে কেবল তার বাহ্যিক সৌন্দর্যই নয় এর পেছনে কাজ করেছে তার বুদ্ধিদীপ্ত ক্ষমতাও। ছেলেবেলা থেকেই মেধাবি ছিলেন এই অভিনেত্রী শুধুমাত্র আনুশকাই নয়, তার ভাই কারনেস শর্মাও পড়াশোনায় বরাবরই ভালো করেছেন এবং বর্তমানে ভারতের নেভী একাডেমীতে একজন পাইলটের কাজ করে থাকেন।
বাবা কর্নেল হওয়ার সুবাদে আর্মি স্কুল থেকে কলেজ পাশ করেন আনুশকা। এরপর ব্যাঙ্গালুরের মাউন্ট চারমেল কলেজ থেকে আর্টস বিষয়ে স্নাতক পাশ করেন। অতঃপর মডেল হবার স্বপ্ন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। মুম্বাইয়ে এসে ল্যাকমে ফ্যাশন উইকে মডেল হিসেবে মিডিয়ায় পা রাখেন। বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করার পর নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সিনেমার অফারটি পেয়ে যান। ২০০৮ সালে যশ রাজ চোপড়ার পরিচালনায় ‘রাবনে বানাদি জড়ি’ সিনেমা দিয়ে বলিউডে প্রবেশ করেন। এরপরের কাহিনী আনুশকা ভক্তদের কাছে অজানা নয়।
২০১০ সালে তিনি নিয়ে আসেন ‘বাদমাস কোম্পানি’। বক্স অফিসে সিনেমাটি তেমন সুবিধা করতে না পারলেও সিনেমায় অনবদ্য অভিনয় আনুশকাকে এনে দিয়েছিল জনপ্রিয়তা। এরপর শাহরুখ খানের বিপরীতে আরও একবার জুটিবদ্ধ হয়ে দর্শককে উপহার দেন ‘যাব তাক হ্যা জান’ সিনেমাটি। পরবর্তীতে এই সিনেমাটি তাকে আইফা অ্যাওয়ার্ডে সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রীর পুরস্কার এনে দেয়।
এছাড়াও তিনি স্টারডাস্ট অ্যাওয়ার্ড, আইফা অ্যাওয়ার্ড, টেলিভিশন প্রোডিউসার গিল্ড অ্যাওয়ার্ড, জি সিনে অ্যাওয়ার্ড এবং লায়ন গোল্ড অ্যাওয়ার্ডসহ নামিদামী অনেক অ্যাওয়ার্ড সম্মানে ভূষিত হন এই অভিনেত্রী।

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.