একটি সম্পর্কে জড়ানো তো খুব সহজ। কিন্তু সেই সম্পর্কে সুখী হওয়া কি সহজ? আপাত দৃষ্টিতে যতটা সুখের মনে হয় একটি প্রেমের কিংবা দাম্পত্য সম্পর্ককে বাস্তবে অনেকেই ততটা সুখী হতে পারেন না। দুজনের মধ্যে নানান অমিল ও দ্বন্দের কারণে সুখ ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। সম্পর্কে অসুখী পুরুষরা সাধারণত স্ত্রী বা প্রেমিকার সম্পর্কে কিছু অভিযোগ করে থাকেন। জেনে নিন এমন ৭টি অভিযোগ সম্পর্কে।
প্রতারক
অধিকাংশ অসুখী পুরুষের নিজের সঙ্গী সম্পর্কে অভিযোগ হলো তার প্রেমিকা/স্ত্রী প্রতারক। নিজের প্রাক্তন প্রেমিক কিংবা অন্য কারো সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো অথবা যোগাযোগ রাখা নিয়ে দাম্পত্য কলহের অভিযোগ করেন অনেক পুরুষই।
অনেক একঘেয়ে
সম্পর্কে অসুখী পুরুষদের মধ্যে অনেকেই বলেন তাদের স্ত্রী একঘেয়ে। স্ত্রী শুধুমাত্র নিজেকে নিয়েই এতো ব্যস্ত থাকেন তার সাথে বসে একটু গল্প করে সময় কাটানোর সুযোগও পান না পুরুষ সঙ্গীটি। এছাড়াও রসবোধের অভাব ও বুদ্ধিমত্তার অভাবের কারণে দুজনের গল্প খুব বেশি জমেও না বলে অভিযোগ করেন অনেক পুরুষ। ফলে সম্পর্কে খুব বেশি সুখী হতে পারেন না অনেক পুরুষই।
প্রশংসা পান না
যারা সম্পর্কে অসুখী এমন অধিকাংশ পুরুষেরই আরেকটি অভিযোগ থাকে নিজের নারী সঙ্গীর প্রতি আর তা হলো কোনো কাজেই প্রশংসা না পাওয়া। যা কিছুই করেন না কেন কোনো প্রচেষ্টারই কোনো মূল্য দেন না তাদের নারী সঙ্গী। ফলে এক পর্যায়ে সঙ্গীর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন তাঁরা।
শারীরিক মিলনে একেবারেই আগ্রহ নেই
অনেক বিবাহিত পুরুষদেরই অভিযোগ থাকে যে তাদের স্ত্রীর শারীরিক মিলনের প্রতি একেবারেই আগ্রহ নেই। ফলে প্রায় প্রতিদিনই নানা অযুহাতে শারীরিক মিলনের বিষয়টিকে এড়িয়ে যান তাঁরা। আর তাই অনেক পুরুষই তাদের সংসার জীবনে অসুখী ও বিরক্ত।
একেবারেই অসামাজিক
অনেক অসুখী পুরুষের তাদের সঙ্গী সম্পর্কে একটি অভিযোগ হলো তাদের স্ত্রী একেবারেই অসামাজিক। নিজের বন্ধুদের সাথে, পরিবারের সাথে একেবারেই মিশতে পারেন না তাদের স্ত্রী/প্রেমিকা এমনটাই অভিযোগ তাদের। এমনকি কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানেও যেতে চান না অনেক স্ত্রী/প্রেমিকা যা তাদের পুরুষ সঙ্গীটির জন্য বেশ বিব্রতকর।
নিজেকে গুছিয়ে রাখেন না
প্রতিটি পুরুষই চায় তাদের স্ত্রী/প্রেমিকা নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখুক। কিন্তু সম্পর্কে অসুখী অনেক পুরুষই অভিযোগ করেন যে তাদের প্রেমিকা/স্ত্রী নিজেকে একেবারেই গুছিয়ে রাখেন না অথবা অপরিচ্ছন্ন থাকেন।
অতিরিক্ত খরচ করেন
অনেক অসুখী পুরুষেরই অভিযোগ হলো তাদের স্ত্রী/প্রেমিকা অতিরিক্ত খরচ করেন। তাদের বেহিসাবি খরচে মাসের খরচ চালাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয় অনেক পুরুষকেই। ফলে সংসার ও সম্পর্কের প্রতি বিরক্ত হয়ে যান অনেক পুরুষই।