ইদানিং বড় বড় ফ্যাশন হাউজ বা শপিং মলে ট্রায়াল রুম থাকেই। যেখানে আপনি নিজের পোষাক পরিবর্তন করে যে পোষাকটি কিনতে ইচ্ছুক সেটি পরে নিয়ে ফিটিং বা অন্যান্য ব্যাপার সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, এখানেও আপনার প্রাইভেসি ক্ষুণ্ন করার জন্যে ওঁত পেতে আছে কিছু বিকৃতরুচির মানুষ। ট্রায়াল রুমে নারীদের পোষাক পরিবর্তনের দৃশ্য ধারণ করে এরা ছড়িয়ে দেয় বিভিন্ন পর্ণ সাইটে। শুধু ট্রায়াল রুমেই না, বাথরুম, হোটেল রুমেও থাকতে পারে লুকোনো ক্যামেরা। আপনি নিশ্চয়ই নিজের ক্ষেত্রে এমন হোক, তা চাইবেন না। তাই জেনে নিন, কোথায় কোথায় থাকে এবং কীভাবে সনাক্ত করবেন এই সব গোপন ক্যামেরা।
পিন হোল ক্যামেরা চিনে নিনঃ
ট্রায়াল রুম বা বাথরুমে যদি লুকোনো ক্যামেরা থেকেই থাকে, তবে সেটা খালি চোখে সনাক্ত করাটা কিন্তু বেশ কঠিন। কেননা, এই ক্যামেরাগুলো মোটেই বড় না। এগুলোকে বলা হয় পিন হোল ক্যামেরা। যা রুমের যে কোন ছিদ্রযুক্ত জিনিসের ভেতরে সেট করে দেয়া যায়। খালি চোখে আপনি কখনোই এগুলো সনাক্ত করতে পারবেন না।
কোথায় থাকে এই ক্যামেরাগুলোঃ
এই লুকোনো ক্যামেরা থাকতে পারে এলার্ম ঘড়ি, ফায়ার এলার্ম বক্স, রেডিও, স্পীকার, এয়ার ফ্রেশনার, ল্যাম্প, তাক বা শেলফ, পুতুল, অথবা দেয়ালে লাগানো ফ্যান বা এয়ার কন্ডিশনারের সাথেও। ছোট্ট একটি ছিদ্র দিয়ে আপনার প্রাইভেসি কিভাবে রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে সেটা আপনি বুঝতেও পারবেন না।
১। ট্রায়াল রুম বা বাথরুমে লুকোনো ক্যামেরা লাগানো আছে কিনাঃ
• ট্রায়াল রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে আগে দেখুন আপনার মোবাইল থেকে কল করা যাচ্ছে কিনা।
• করা গেলে এবার ট্রায়াল রুমের ভেতরে ঢুকে আপনার মোবাইল অন করুণ ও কল করার চেষ্টা করুন।
• যদি আপনার মোবাইল থেকে কল না করা যায় এবং হঠাৎ করেই নেটওয়ার্ক ডাউন হয়ে যায় তাহলে নিশ্চিতভাবেই সেখানে একটি লুকোনো ক্যামেরা আছে।
• গোপন ক্যামেরার সাথে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল থাকে। সিগন্যাল ট্রান্সফার করার সময় এর ইন্টারফিয়ারেন্স হতে থাকে। যার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক সেখানে কাজ করেনা।
• করা গেলে এবার ট্রায়াল রুমের ভেতরে ঢুকে আপনার মোবাইল অন করুণ ও কল করার চেষ্টা করুন।
• যদি আপনার মোবাইল থেকে কল না করা যায় এবং হঠাৎ করেই নেটওয়ার্ক ডাউন হয়ে যায় তাহলে নিশ্চিতভাবেই সেখানে একটি লুকোনো ক্যামেরা আছে।
• গোপন ক্যামেরার সাথে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল থাকে। সিগন্যাল ট্রান্সফার করার সময় এর ইন্টারফিয়ারেন্স হতে থাকে। যার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক সেখানে কাজ করেনা।
২। ট্রায়াল রুমের আয়নার বিপরীত থেকে কেউ ভিডিও করছে না তো?
ট্রায়াল রুমের আয়নায় হয়তো পোষাক বদলের সময় নিজেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বারবার দেখছেন আপনি। কিন্তু আয়নার অপর পাশ থেকে আপনাকেও যদি অন্য কেউ দেখতে থাকে পোষাক বদলে সময় এবং ধারণ করে ভিডিও, তাহলে সেটা নিশ্চয়ই আপনার ভালো লাগবে না। কিছু কিছু ট্রায়াল রুমে এমন আয়না লাগানো থাকে যা অনেকটা স্বচ্ছ কাঁচের মতই কাজ করে। কিন্তু আপনি নিজেকে দেখার সময় বুঝবেনই না যে অপর দিক থেকে কেউ আপনাকেও দেখছে! প্রযুক্তির অপব্যবহারে আসল আয়নার মাঝে এখন যুক্ত হয়েছে নকল আয়না, যাকে বলা হয় দ্বিমুখী আয়না। অথবা আয়নার অন্য পাশে লাগানো থাকতে পারে অত্যাধুনিককোন ক্যামেরা । এটি টয়লেট, হোটেল রুম, চেঞ্জিং রুমের বড়ো আয়নায় লাগানো থাকতে পারে। কিন্তু একটি সহজ উপায়ে আপনি এটি চিহ্নিত করতে পারেনঃ
• আপনার আঙ্গুলের মাথা আয়নার গায়ে লাগান, ভালোভাবে কাছে গিয়ে দেখুন। যদি আঙ্গুলের মাথা সরাসরি এর প্রতিবিম্বের সাথে সরাসরি লেগে যায় তাহলে আয়নাটি নকল (অর্থাৎ আয়নার অপর দিক থেকে কেউ আপনাকে দেখছে বা ভিডিও করছে)।
• যদি আঙ্গুলের মাথা সরাসরি এর প্রতিবিম্বের সাথে না লেগে যায় (একটু ফাঁকা জায়গা বা গ্যাপ থাকে)তাহলে আয়নাটি আসল।
• কেননা, আসল আয়নার সিলভার প্রলেপ থাকে আয়নার পিছনে, যার জন্য আপনার আঙ্গুল ও প্রতিবিম্বের মাঝে ফাঁকা থাকবে আয়নার পুরুত্বের জন্য। আর নকল আয়নার (দ্বিমুখী) সিলভার প্রলেপ থাকে আয়নার সামনে, যার জন্য আপনার আঙ্গুলের ছাপ আপনার আঙ্গুলের প্রতিবিম্বের সাথে লেগে যাবে কারন মাঝে কোনো বাধা নেই।
• যদি আঙ্গুলের মাথা সরাসরি এর প্রতিবিম্বের সাথে না লেগে যায় (একটু ফাঁকা জায়গা বা গ্যাপ থাকে)তাহলে আয়নাটি আসল।
• কেননা, আসল আয়নার সিলভার প্রলেপ থাকে আয়নার পিছনে, যার জন্য আপনার আঙ্গুল ও প্রতিবিম্বের মাঝে ফাঁকা থাকবে আয়নার পুরুত্বের জন্য। আর নকল আয়নার (দ্বিমুখী) সিলভার প্রলেপ থাকে আয়নার সামনে, যার জন্য আপনার আঙ্গুলের ছাপ আপনার আঙ্গুলের প্রতিবিম্বের সাথে লেগে যাবে কারন মাঝে কোনো বাধা নেই।
বিকৃত রুচির মানুষের কালো থাবা থেকে নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে নিরাপদ রাখুন, সচেতন থাকুন, ভালো থাকুন।