সাময়িকী.কম
গাজায় আবারো হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। গাজা সিটিতে ইসরায়েলি যুদ্ধ বিমান ও ট্যাংকের গোলা নিক্ষেপ করা হয়। এতে বহু লোক হতাহত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে গাজায় হামাসের অবকাঠামোগুলোতে হামলা অব্যাহত থাকবে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে হামাসের যোদ্ধারা ১৮টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। ৭২ ঘন্টার যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার সাথে সাথে ইসরায়েল এ হামলা চালালো। অপরদিকে ইসলামিক জিহাদ এক বিবৃতিতে বলেছে কায়রোতে অনুষ্টিত বৈঠকে ফিলিস্তিনিদের কোনো দাবি ইসরায়েল মেনে নেয়নি। ফলে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দায় ইসরায়েলকে নিতে হবে। আজ সকালে ইসরায়েলের প্রতিনিধি দল কায়রো থেকে তেলআবিব ফিরে যায়।
এর আগে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল কাসাম ব্রিগেড সর্তক করে দিয়েছিলো অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি মানা না হলে ৭২ ঘন্টার যুদ্ধবিরতির পর তারা আবার ইসরায়েলে হামলা চালাবে। আল কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বৃহস্পতিবার রাতে এক টেলিভিশন ভাষনে কায়রোতে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য অনুরোধ জানান দাবি পুরন না হলে তারা যেনো যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত না হন। হামাসের টেলিভিশন চ্যানেল আল আকসায় তার এই ভাষন প্রচার করা হয়।
গাজার ১৮ দিনের যুদ্ধে হামাস যোদ্ধাদের হাতে ৬৪ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। যা নিয়ে এখন ইসরায়েলে বড় ধরনের বির্তক সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর জন্য বড় ক্ষতি বলে স্বীকার করেছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে গাজার সাথে সবগুলো ক্রসিং খুলে দেয়া। সমুদ্র ও আকাশ পথে যোগাযোগ উন্মুক্ত করা এবং ইসরায়েলের কারাগারে আটক হামাস নেতাদের মুক্তি দাবি করা হয়।