হে কবিতাদের জননী, miss you.
প্রকৃতির নির্যাস সেবন করে কত কবিতার পিতা হলাম অবলীলায়- কিন্তু
জন্মেই ওরা জিজ্ঞাসে, ‘পিতা হে, জননী কোথায়? স্বপ্নের নকশিকাঁথা
গায়ে দিয়ে আমি মুচকি হেসে বলি–পিঁপড়া পাড়া গ্রামে ! ওরা শিউরে ওঠে–
কালো মেঘের আভা মুহূর্তেই ছেয়ে যায় ওদের চিন্তনের রেখা। স্নেহ
পাওয়ার আকুলতায় রোদন করে- রোদনের তীব্রতা ছড়িয়ে পড়ে সাহিত্য
বিশ্বের বিস্তৃত পরিমণ্ডলে। থরো থরো করে কেঁপে উঠে পরিচিত শব্দেরা–
বর্ণমালার সদস্যবর্গরা হকচকিয়ে চায় –সন্তান স্নেহে অভিমান ভুলে
আমিও অস্ফুট স্বরে বলি– হে কবিতাদের জননী, miss you.
একটু ভালবাসা দিবে?
সভ্যতা কর্ষণ করে সব প্রযুক্তি দিব, নিবে? আকাশ দোহন করে দেব সব নীল–সমুদ্র লুট করে নিয়ে আসবো সব সুমধুর গর্জন–চন্দ্র্রের কাছ থেকে নিয়ে আসবো স্নিগ্ধ জোছনা; বৃষ্টির কাছ থেকে নিয়ে আসবো ভাললাগার ছন্দ–সাদামেঘের বুক চিড়ে নিয়ে আসবো এক মুঠো রোদ্দুর–তোমার স্বপ্ন রাঙাতে কুরিল দ্বীপের নিটোল নির্জনতা দিব- নয়াগ্রা জলপ্রপাতের সমস্ত সৌন্দর্য এঁকে দিব তোমার হৃদয় ক্যাভাসে- যদি চাও তোমার ঐ উষ্ণ বুকে রাশিয়ার বৈকাল হ্রদের সব শীতলতা দেব- রূপসী বাংলার সমগ্র সবুজের আল্পনায় রাঙিয়ে দেব তোমার হৃদয়- বিনিময়ে একটু ভালবাসা দিবে?
বোরহানবাগ, টিলাগড়, সিলেট