নিজস্ব প্রতিবেদক
সাময়িকী.কম
ঢাকা : জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয়না। হাসপাতালে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারো সাথে কথা বলতেও টাকা লাগে এমন অভিযোগ করলেন মহাখালী থেকে আগত সোহেল।
তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তিনদিন যাবৎ তার মা এ হাসপাতালে ভর্তি। তারা রাজধানীর মহাখালীর বাসিন্দা। মাকে নিয়ে তাকে পদে পদে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ওয়ার্ডবয়, আয়া, নার্স ও দারোয়ানসহ কর্তব্যরত প্রায় সবাই নাকি টাকা ছাড়া কোনো প্রশ্নের উত্তরও দেন না। তিনি বলেন, 'প্রয়োজনে কাউকে যদি কোনো প্রশ্ন করি এমন এক ভাব ধরে দাড়িয়ে থাকেন যেন তিনি কথা বলতেই জানেন না, অথবা তিনি কথা শুনেননি। দশবার প্রশ্ন করলে একবার উত্তর পাওয়া যায়। আর যদি পকেট থেকে দশ-বিশ টাকা হাতে তুলে দেওয়া হয় তাহলে উত্তর পাওয়া যায় সাথে সাথেই'।
তিনি আরো জানিয়েছেন, প্রতিদিন প্রতিবার হাসপাতালের ভেতরে মহিলা ওয়ার্ডে যেখানে তার মা ভর্তি সেখানে ঢুকতে গেইটে একবার দারোয়ানকে টাকা দিতে হয়। আরেকবার ওয়ার্ডে ঢুকতে দারোয়ানকে টাকা দিতে হয়। নয়তো ঢুকতে দেয়া হয়না। তিনি জানান, তিনদিনে তার প্রায় দুই হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে শুধু ঘুষ দিয়ে। মহিলা ওয়ার্ডের পরিবেশ ভালোনা বলে মাকে কেবিনে ভর্তি করাতে চান! বলা হচ্ছে কেভিন নাকি খালি নাই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'আমি নিজে গিয়ে দেখে এসেছি তিনটি কেবিন খালি আছে'।
১৮ জানুয়ারি রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গেইটে ভেতরে ঢুকতে অনেকেই দারোয়ানের বাধায় দাড়িয়ে আছে। গেইটের সামনের চিত্রটা মোটামুটি রকমের ভিড়ই বলা চলে। এরই মধ্যে একজনকে দেখে দারোয়ান সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল, 'এই সরেন সরেন স্যার আইছে'। ভেবে নিলাম লোকটি হয়তো হাসপাতালের বড় কোনো কর্মকর্তা। কিন্তু না মূল কাহিনী ভিন্ন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, লোকটির এক আত্বীয় এ হাসপাতালে ভর্তি। বেশকয়েকদিন যাবৎ এখানে তার আসা-যাওয়া। তিনি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় দারোয়ানকে বড় অংকের বখশিশ দিয়ে যান আর তাই তার প্রতি দারোয়ানদের এত ভক্তি।
কেবিন খালি থাকার পরেও দেয়া হয়না এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নার্স জানান, 'ওগুলো বরাদ্ধ আছে। যদি উপরের লেভেলের কাউকে (রাজনৈতিক কোনো প্রভাবশালী নেতা) দিয়ে ফোন করানো যায় তাহলেই মিলবে কেবিন'।
সাময়িকী.কম
ছবি : সাময়িকী.কম |
ঢাকা : জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয়না। হাসপাতালে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারো সাথে কথা বলতেও টাকা লাগে এমন অভিযোগ করলেন মহাখালী থেকে আগত সোহেল।
তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তিনদিন যাবৎ তার মা এ হাসপাতালে ভর্তি। তারা রাজধানীর মহাখালীর বাসিন্দা। মাকে নিয়ে তাকে পদে পদে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ওয়ার্ডবয়, আয়া, নার্স ও দারোয়ানসহ কর্তব্যরত প্রায় সবাই নাকি টাকা ছাড়া কোনো প্রশ্নের উত্তরও দেন না। তিনি বলেন, 'প্রয়োজনে কাউকে যদি কোনো প্রশ্ন করি এমন এক ভাব ধরে দাড়িয়ে থাকেন যেন তিনি কথা বলতেই জানেন না, অথবা তিনি কথা শুনেননি। দশবার প্রশ্ন করলে একবার উত্তর পাওয়া যায়। আর যদি পকেট থেকে দশ-বিশ টাকা হাতে তুলে দেওয়া হয় তাহলে উত্তর পাওয়া যায় সাথে সাথেই'।
তিনি আরো জানিয়েছেন, প্রতিদিন প্রতিবার হাসপাতালের ভেতরে মহিলা ওয়ার্ডে যেখানে তার মা ভর্তি সেখানে ঢুকতে গেইটে একবার দারোয়ানকে টাকা দিতে হয়। আরেকবার ওয়ার্ডে ঢুকতে দারোয়ানকে টাকা দিতে হয়। নয়তো ঢুকতে দেয়া হয়না। তিনি জানান, তিনদিনে তার প্রায় দুই হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে শুধু ঘুষ দিয়ে। মহিলা ওয়ার্ডের পরিবেশ ভালোনা বলে মাকে কেবিনে ভর্তি করাতে চান! বলা হচ্ছে কেভিন নাকি খালি নাই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'আমি নিজে গিয়ে দেখে এসেছি তিনটি কেবিন খালি আছে'।
১৮ জানুয়ারি রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গেইটে ভেতরে ঢুকতে অনেকেই দারোয়ানের বাধায় দাড়িয়ে আছে। গেইটের সামনের চিত্রটা মোটামুটি রকমের ভিড়ই বলা চলে। এরই মধ্যে একজনকে দেখে দারোয়ান সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলল, 'এই সরেন সরেন স্যার আইছে'। ভেবে নিলাম লোকটি হয়তো হাসপাতালের বড় কোনো কর্মকর্তা। কিন্তু না মূল কাহিনী ভিন্ন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, লোকটির এক আত্বীয় এ হাসপাতালে ভর্তি। বেশকয়েকদিন যাবৎ এখানে তার আসা-যাওয়া। তিনি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় দারোয়ানকে বড় অংকের বখশিশ দিয়ে যান আর তাই তার প্রতি দারোয়ানদের এত ভক্তি।
কেবিন খালি থাকার পরেও দেয়া হয়না এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নার্স জানান, 'ওগুলো বরাদ্ধ আছে। যদি উপরের লেভেলের কাউকে (রাজনৈতিক কোনো প্রভাবশালী নেতা) দিয়ে ফোন করানো যায় তাহলেই মিলবে কেবিন'।