‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’ এই মর্মবাণীটির অর্থ আমরা প্রাপ্ত বয়স্করা বুঝতে পারি, কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্ক রাগী শিশু সন্তানটিকে কীভাবে বোঝাবেন? এমন অনেক শিশুই দেখা যায় যাদের অনেক বেশি রাগ হয়ে থাকে। হতে পারে তারা এই বিষয়টি বংশগতভাবে পায়, কিংবা পারিবারিক কোন কারণ। যার ফলে রাগের বশে কোনো কিছু ভেঙে ফেলা, কাউকে মারা, চিৎকার করে কান্না করা ইত্যাদি এই ধরনের কাজগুলো করে থাকে। সন্তানের অপ্রত্যাশিত এমন ভয়ংকর রাগ কমাবেন কী করে? জেনে নিন এমন পরিস্থিতিতে আপনি কী করবেন।
১. বাচ্চারা অনেক বিষয় নিয়ে জেদ করে রাগারাগি করে থাকে। আপনি মাঝেমাঝে এসব অবাঞ্চিত রাগের তোয়াক্কা করবেন না। সন্তানের কান্না বা চিৎকার কারোরই দেখতে ভালো লাগে না। কিন্তু সন্তানের ভালোর জন্যই মাঝেমাঝে ওর জেদের বা রাগের মূল্যায়ন করবেন না। এভাবে কিছুদিন করলে ও বুঝতে পারবে যে আসলে এসব করে কোনো লাভ নেই।
২. অতিরিক্ত রাগের বশে সন্তান কিছু ছোঁড়াছুড়ি করলে করলে তার হাতের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে রাখবেন এবং তার রাগ হওয়াকে দেখেও না দেখার ভান করবেন। তবুও বাচ্চার গায়ে কখনও হাত তুলবেন না বা বকাবকি করবেন না। এভাবেই ও একসময় বুঝতে পারবে যে আসলে রাগে কোনো সমাধান নেই।
৩. সন্তানকে অনুভূতিগুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত করার চেষ্টা করুন। তাকে বুঝিয়ে বলুন যে রাগারাগি করা একটা বাজে ধরনের অভ্যাস যা মানুষের অনেক ধরনের ক্ষতি করে। তার মনে রাগারাগি সম্পর্কে একটা ভয় ঢুকিয়ে দিতে পারেন। অনেক কাল্পনিক গল্প বলে বুঝিয়ে দিতে পারেন। এই পদ্ধতিটি বেশি কাজে দিতে পারে।
৪. রাগী সন্তানের বাবা মা হিসেবে আপনাদেরও মূখ্য ভূমিকা রাখতে হবে। সন্তানের সামনে এমন ধরনের আচরণ একেবারেই করবেন যা সন্তানরা দেখে দেখে শিখে। শিশুরা অনুকরণপ্রিয় হয়ে থাকে। তাই বাবা মা হিসেবে আপনাদেরও এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
৫. বাচ্চার রাগ নিয়ন্ত্রণ করার কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করুন। বাচ্চাকে বুঝিয়ে বলুন। কোনো কিছু নিয়ে জিদ করলে অন্য কিছু দিয়ে মন ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করুন। অথবা রাগ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যাকে সে ভয় পায় তার কথা বলুন যে এমন করলে তিনি এসে বকবেন। তবে খেয়াল রাখবেন বিষয়টি নিয়ে বাচ্চারা যেন একেবারে ভয় না পায়।