সাময়িকী.কম


শায়মা জাহান তিথি; ত্রিপোলি থেকে-
গত ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ তারিখে লিবিয়াস্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের দু'জন কর্মকর্তা দেশটির রাজধানী ত্রিপোলির একটি ডিটেনশন সেন্টারে গেলে সেখানে স্মৃতিভ্রষ্ট এবং বাকশক্তিহীন এক ব্যক্তির খোঁজ পান, যার চেহারা এবং শারীরিক গঠন দেখে তাকে বাংলাদেশি বলে সন্দেহ পোষণ করেন উক্ত কর্মকর্তাদ্বয়।
এরই প্রেক্ষিতে তাঁরা ঐ ব্যক্তিকে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ডিটেনশন সেন্টার থেকে স্থানান্তরিত করে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন ত্রিপোলির কেন্দ্রীয় হাসপাতালে। এছাড়াও দূতাবাসের ফেইসবুক পেইজে উক্ত ব্যক্তির ছবি সহকারে একটি পোষ্ট করেন, যেখানে কেউ তাকে চিনতে পারলে দূতাবাসে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়।

দীর্ঘ চার মাস পর জানুয়ারির মাঝামাঝিতে ফেইসবুকের পোষ্টটি নজরে এলে কয়েকজন যুবক দূতাবাসে যোগাযোগ করে তাদেরকে ঐ ব্যক্তির বন্ধু বলে দাবী করে।

বিষয়টি দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ক্ষতিয়ে দেখে এবং তাদের মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তির গ্রামের বাড়িতে যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়। জানা যায়, তিনি নোয়াখালি জেলার বেগমগঞ্জ থানার জনাব ইলিয়াসের পুত্র মোঃ ইকবাল হোসাইন।

বর্তমানে তিনি লিবিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর মিসরাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। বাংলাদেশ দূতাবাস তাকে দেশে পাঠানোর সার্বিক ব্যবস্থাদি গ্রহণ করেছে। খুব শীঘ্রই তিনি দেশে পৌঁছুতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

শুধুমাত্র জীবিকার উদ্দেশ্যে পরিবার-পরিজন ছেড়ে একাকীত্বকে সংগী করে আরও অনেকের মতোই প্রবাস নামক এই নির্জনপুরীতে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইকবাল হোসাইন। অথচ ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস!
জীবিকা অর্জন তো দু:স্বপ্ন বটেই, সুস্থতাও যেন আজ অনিশ্চিত।

তবুও স্বজনদের সংস্পর্শে থাকতে পারুক ইকবাল হোসাইন; ফিরে যাক প্রিয় মুখগুলোর কাছে - এটাই সবার প্রত্যাশা।
বিভাগ:

Author Name

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.